জকিগঞ্জের ওই তিন নেতাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৫, ৫:৫৬:৩০ অপরাহ্ন
জকিগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেটের জকিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় কারাবন্দী তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে জেলগেটে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত বিচার আদালত। শনিবার দুপুরের দিকে দ্রুত বিচার আদালত সিলেটে জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএজি বাবর, আওয়ামী লীগ সদস্য শিহাব উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন আব্দুল্লাহ সুমনের বিরুদ্ধে রিমান্ড শুনানি হয়। এ সময় আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রিমান্ড শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পাল আসামীদেরকে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
এর আগে গত সপ্তাহে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মোমেন আদালতের কাছে উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএজি বাবর, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শিহাব উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন আব্দুল্লাহ সুমনকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানান। পরে বিচারক আজ শনিবারে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য্য করেছিলেন।
জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, জকিগঞ্জ থানার মামলা নং ১০/২০২৪ সুষ্ঠুভাবে তদন্তের স্বার্থে ওই তিনজন আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিলো। আসামীদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি শেষে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আসামীদেরকে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও বলেন, জেলগেটে আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে মামলায় জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামিদের নাম ঠিকানাসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
জানা গেছে, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে ছাত্র জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জকিগঞ্জ থানায় একটি মামলা ও দ্রুত বিচার আদালত সিলেটের নির্দেশে থানায় আরও ৩টি মামলা নথিভুক্ত হয়। ওই চার মামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ প্রায় হাজারো মানুষ আসামি রয়েছেন। আসামীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকজন নেতা ইতোমধ্যে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএজি বাবর, আওয়ামী লীগ নেতা শিহাব উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আল আমিন আব্দুল্লাহ সুমনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।