মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কর্ম কমিটির সভা কর্মীদের কল্যাণে প্রতিশ্রুতি জোরদার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০২৫, ৬:০৩:০২ অপরাহ্ন
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া: মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে তৃতীয় ওয়ার্কিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ ও ২২ মে, ঢাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১৩ সদস্যের মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ডঃ মোহাম্মদ শাহারিন বিন উমর, দলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পূর্ত মন্ত্রণালয়, মালয়েশিয়ার নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন বোর্ড (সিআইডিবি) এবং লেবার ডিপার্টমেন্ট এর প্রতিনিধিও ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড নেয়ামত উল্যাহ ভুঁইয়া, দলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, বিএমইটি, ওয়েজ কল্যাণ বোর্ড এবং বোয়েসেল এর প্রতিনিধিরাও ছিলেন। এর আগে জয়েন্ট কোয়ার্কিং গ্রুপের দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি সভায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের নিরাপদ অবস্থান, কর্মসংস্থান, বেতন, ভাতা, সুবিধাদি, নিরাপত্তা, আবাসন, চিকিৎসা, আইনগত বিষয়সহ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে এই বৈঠকের লক্ষ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োজন্ এবং কল্যাণের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করা। প্রধান লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মীদের কর্মসংস্থান এবং প্রেরণের বিষয়ে বিদ্যমান সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) বর্ণিত প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, স্বল্প কিছু বাংলাদেশী রিক্রুটিং লাইসেন্স এর মাধ্যমে মালয়েশিয়া কর্মী নিয়োগ করবে।
আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, মালয়েশিয়ার এই উদ্যোগটি মাদানী মালয়েশিয়া কাঠামোর মধ্যে ন্যায়বিচার, করুণা এবং সমৃদ্ধির নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যা কর্মী প্রেরণকারী এবং কর্মী গ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে মানবাধিকার, সামাজিক সুরক্ষা এবং ন্যায্য শ্রম সম্পর্কের গুরুত্বের উপর জোর দেয়। এই বৈঠকে মালয়েশিয়া অভিবাসী কর্মীদের সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে কল্যাণ, আবাসন এবং উপযুক্ত মজুরি, সেইসাথে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ এবং নীতিগতভাবে সঠিক উদ্দেশ্য নিশ্চিত করা। এটি আরও টেকসই এবং প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার জন্য দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং সহযোগিতা জোরদার করবে। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষের মধ্যে রেকর্ড অব ডিসকাশন স্বাক্ষর করা হয়।