আজ জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মে ২০২৫, ১২:৩০:৪২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট: আজ ১১ই জ্যৈষ্ঠ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী। এবারই প্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় কবির মর্যাদায় পালিত হচ্ছে কবির এই বিশেষ দিন। অন্তর্বর্তী সরকার তাকে এই সম্মানে ভূষিত করে। গতবছরের ৩১ ডিসেম্বর বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে মর্যাদা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে । গতবছরের ৩১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
কাজী নজরুল ইসলামের গান কবিতা গল্পে বার বার উঠে এসেছে পরাধীন মানুষের কণ্ঠস্বর এবং মেহনতি মানুষের আর্তনাত। ১৮৯৯ সালের ১১ই জ্যৈষ্ঠ ব্রিটিশ ভারতবর্ষের বাংলা প্রেসিডেন্সির চুরুলিয়া গ্রামে (বর্তমান ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার জামুরিয়া ব্লকের চুরুলিয়া গ্রাম) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন কাজী ফকির আহম্মেদ ও জাহেদা খাতুনের ষষ্ঠ সন্তান। বাল্যকালে কাজী নজরুল ইসলাম এলাকায় ‘দুখু মিয়া’ নামেই বেশি পরিচিত ছিল।
সমসাময়িক পেক্ষাপট বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন-প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাকপালে তার মনকে ভাড়াকাতর না করে সকল মানবজাতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত থেকে নিজস্ব স্বাধীন মতবাদকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন জনমানবে। তার ‘আমার কৈফিয়ৎ’ কবিতা তারই ফলশ্রুতি। তিনি সদাসর্বদা মানুষের সমান অধিকার ও সম্ভবনা, মানুষের চিরন্তন আশা, সুখ-দুঃখ, প্রেম-প্রীতি, বীর-বীরত্বের প্রতি জোর দিয়ে একের পর এক কবিতা রচনা করে গেছেন। তাই তাকে ‘মানুষের কবি’ বলেও আখ্যায়িত করা হয়।
মহামানবের তীরে মানবিক গুনসম্পন্ন কবিচিত্ত মানুষের উপরে নির্যাতন, শোষণ ও অবিচারের প্রতিবাদ করেছেন তার প্রতিবাদের সুর লেখনীর মাধ্যমে। তিনি অরাজনৈতিক ভাবেই বিদ্রোহের উচ্চকণ্ঠে জাগরিত হয়ে মানুষের মনে প্রতিবাদের জয়গান জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন। অগ্নিবীর (১৯২২), ভাঙার গান (১৯২৪) ও বিষের বাঁশি (১৩৩১) মতো লেখনী তারই ফলশ্রুতি। শেষ বয়সে দীর্ঘদিন বাকরুদ্ধ অবস্থায় অনেক কষ্টে দিনপাত করতে করতে বুকে তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯শে আগস্ট পরলোক গমন করেন।