সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ মে ২০২৫, ৬:২২:৩৪ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২৬মে) দুপুর থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়। দুদকের সিলেট জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জুয়েল মজুমদার এর নেতৃত্বে ৫ সদস্যর একটি টিম এ অভিযান চালায়।
অভিযানে হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়মিত অফিস না করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। নার্স, ডাক্তারের বাথরুম পরিস্কার পাওয়া গেলেও রোগীদের বাথরুম অপরিস্কার পাওয়া গেছে। এন্টিবায়োটিক ওষুধের তালিকা রেজিস্ট্রারে নাই। অফিস কর্মকর্তা, কর্মচারীরা নিয়মিত হাসপাতালে আসেননা। বাজারে ওষুধ বিক্রিকরাসহ নানা অনিয়ম চোখে পড়ে দুদকের।
অভিযান শেষে দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, মূলত বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করে যাচাই করে দেখলাম, রোগীরা ঠিকমত ওষুধ পাচ্ছে না। টেন্ডারের কাগজ দেখাতে চাইলে তারা দেখায়নি। অফিস প্রধানের অনুপস্থিতির অজুহাত দেখিয়ে এসব কাগজ দেখাতে রাজি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি ওষুধ ও বাজার থেকে ক্রয় করা ওষুধ আসে হাসপাতালে। এখানে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো বাজার থেকে ক্রয় করা এন্টিবায়োটিক ওষুধের কোন রেজিস্ট্রার নাই। কিন্তু গোডাউনে গিয়ে দেখলাম তিন ধরনের এন্টিবায়োটিক ওষুধ রাখা আছে। এসব ওষুধ তারা বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। এসবের জন্য দায়ি সাবেক স্টোর কিপার সোলাইমান। তিনি এসব দেখাশুনা করতেন। মে মাসের আগের কোন রেজিস্ট্রার নাই। এখানে একজন আনোয়ার নামে মেডিকেল টেকনিক্যাল আছেন, তিনি নিয়মিত অফিসে আসেননা। ছুটিও নেননা। ছুটির কোন আবেদনও নেই। অফিস প্রধানও কিছু জানেননা। এছাড়া হাসপাতাল থেকে কর্মকর্তা, কর্মচারী যখন বের হন তারা বায়োমেট্রিক ব্যবহার করেননা। এতে করে কে কয়টায় বের হয় তার কোন হিসাব নাই। আমরা অনেক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দেবো। দুদকের অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ রফিকুল ইসলাম।