এটিএম আজহারের রায় আজ, খালাসের প্রত্যাশা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মে ২০২৫, ১২:০১:৫৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানান, ইনশাআল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ কর্তৃক এটিএম আজহারুল ইসলামের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। আমরা আশা করছি, তিনি খালাস পাবেন।
মামলাটির আপিল শুনানি শেষ হয় গত ৮ মে। ওই দিন শুনানি শেষে আদালত ২৭ মে রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন। এটিএম আজহারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট রায়হান উদ্দিন ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
রিভিউ থেকে আপিল- দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া :
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আসামিপক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। ওই দিন শুনানি না হওয়ায় আদালত ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন।
এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালত রিভিউ মঞ্জুর করে এবং আসামিপক্ষকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেন। এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, যেখানে রিভিউর ভিত্তিতে মূল আপিল শুনানির অনুমতি দেন আদালত।
পরে ৬ মে অনুষ্ঠিত হয় আপিলের প্রথম দিনের শুনানি, যা পরবর্তী দিনে স্থগিত রেখে ৮ মে আবারও অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ হিসেবে ২৭ মে নির্ধারণ করেন।
পূর্ববর্তী রায় ও অপরাধের বিবরণ :
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি জামায়াত নেতা আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। ওই আপিলের মূল অংশ ছিল ৯০ পৃষ্ঠার, যার সঙ্গে ২৩৪০ পৃষ্ঠার সংযুক্ত নথিপত্র দাখিল করা হয়।
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আপিল বিভাগ আজহারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই রায় দেন। এর বিরুদ্ধে আজহারুল ইসলাম রিভিউ আবেদন করেন।
একপর্যায়ে শুনানির দিনে বেঞ্চের একজন বিচারপতির অনুপস্থিতির কারণে রিভিউ শুনানি পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। তবে ২০ ফেব্রুয়ারি আবেদন কার্যতালিকায় থাকলেও শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।
দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এখন তাকিয়ে থাকা হচ্ছে আপিল বিভাগের রায়ের দিকে। মঙ্গলবারের রায় এটিএম আজহারুল ইসলামের ভাগ্য নির্ধারণ করবে-তিনি খালাস পাবেন, নাকি বহাল থাকবে মৃত্যুদণ্ড।