ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মে ২০২৫, ৭:২১:৫১ অপরাহ্ন
আলাল হোসেন, শান্তিগঞ্জ:
পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় ধারালো দা, ছুরি ও চাপাতির বেচাকেনা। তাই সময় যত ঘনিয়ে আসছে শান্তিগঞ্জের কামারশিল্পীদের ব্যস্ততাও বাড়ছে। কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় দা, বটি, কুড়াল, ছুরি, চাপাতিসহ ধারালো জিনিস তৈরিতে দম ফেলার সময় নেই কামারদের। দিনরাত সমান তালে টুং টাং শব্দে মুখর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারের কামারপট্টি।
সরেজমিনে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া, শান্তিগঞ্জ, পাগলাবাজার, আক্তাপাড়াসহ বিভিন্ন কামারপট্টি ঘুরে দেখা গেছে পশু কোরবানির নানা উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত কামাররা। বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কোরবানির সময়টাতে কাজের চাপ অনেক বেড়ে যায়।
সারা বছর তাদের দুর্দিন থাকলেও এখন তাদের সুদিন। কোরবানির পশু জবাইয়ের উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার কামাররা। এসব চাহিদামতো সরবরাহে তারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রি ততো বেশি হবে বলে জানান তারা।
একাধিক কামাররা জানান, কোরবানির ঈদের জন্য বছরের এ সময়টা আমাদের ব্যস্ত থাকতে হয়। দা, চাপাতি, জবাই ছুরি, কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি, বটিসহ বিন্নি সামগ্রী বানাতে একটানা কাজ করে যাচ্ছেন।
কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় এসব জিনিসপত্রের দাম সম্পর্কে পাগলাবাজার গলির সামনে কামারপট্টির ভানু দে জানান, কেজি ও পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির নানা সরঞ্জাম। প্রতি কেজি বটি ৬শ থেকে ৭শ টাকা, চাপাতি ৮শ থেকে ১হাজার টাকা, জবাই ছুরি ২ থেকে ৩শ ও চামড়া ছিলানো ছুরি ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। বেচাকেনা এখনো কিছুটা কম হলেও সময় বাড়ার সাথে সাথে বেচাকেনা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।
কামাররা বলেন, লোহা এবং কয়লার দাম বাড়ার কারণে দা, বটি, চাপাতিসহ অন্যান্য সরঞ্জামের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে আমাদের ব্যবসা আগের মতো আর নেই। ঈদের কয়েক দিন ব্যস্ত তার পরেই আবার হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে।