গোলাপগঞ্জে সুরমা নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন, হুমকির মুখে পৌর শহর
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মে ২০২৫, ৭:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের গোলাপগঞ্জে সুরমা নদীর বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে পৌর শহরসহ আশপাশ এলাকা। বন্ধ হয়ে গেছে এলাকার জন চলাচলের রাস্তা। ফলে স্থানীয় জনগণ আতংকিত হয়ে পড়েছেন। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে হাজার হাজার একর জমি, পৌর এলাকার বাসাবাড়ী দোকানপাট, উপজেলা পরিষদ, থানা প্রাঙ্গণসহ বিস্তীর্ণ এলাকা সুরমা নদীর পানিতে বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সুরমা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ভাঙনের সংবাদ পেয়ে সিলেটের পানি উন্নয়ন উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিন পরিদর্শন করে ভাঙন রোধে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশ^স্থ করেছেন এলাকাবাসীকে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জনপদ হচ্ছে পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ড। পুরো ওয়ার্ডটিই সুরমা নদীর বেড়িবাঁধের নিরাপদ এলাকায় অবস্থিত। এই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশজুড়ে পৌর শহরের কিয়দাংশ ও অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এই ওয়ার্ডের একেবারে পূর্ব প্রান্তে রয়েছে মৌলভী খালের অবস্থান। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মৌলভী খালের মোহনায় স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে নির্মিত হয় সুুইচ গেইট। ফলে গোলাপগঞ্জ পৌর শহর ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ অংশ বন্যার কবল থেকে সুরক্ষা পায়। এ বছরের মার্চ মাসে মৌলভী খালের মোহনায় অর্থাৎ সুরমা নদীর বেড়ীবাঁধে ভাঙন দেখা দিলে পৌরসভার উদ্যোগে পাইলিংসহ গাইড দেয়াল নির্মাণ করে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়। কাজ শেষ হওয়ার মাস খানেক পর ঐ স্থানের নিম্নভাগের মাটি ধ্বসে পড়লে বড় ধরনের ভাঙন দেখা দেয়। এতে গাইড ওয়ালসহ বড় অংশ ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনে পাকা রাস্তার নীচের মাটি সরে গেলে রাস্তা দিয়ে চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়, ঝুঁকির মধ্যে পড়ে বিদ্যুৎ লাইন। ভাঙনের কারণে অত্র এলাকার জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়ায় ও গোলাপগঞ্জের উল্লেখযোগ্য এলাকা বন্যার কবলে পড়ার আশংকা দেখা দিলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জন দাস জানান, শুষ্ক মৌসুম ছাড়া স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হবে না। রাস্তা, বাড়িঘর ও বেড়ি বাঁধ রক্ষার লক্ষ্যে সাময়িক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতে আপাতত ভাংগন রোধ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।