বড়লেখায় স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত স্বামী কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মে ২০২৫, ৬:১৭:৪২ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি :
বড়লেখায় শ্বশুর বাড়িতে মধ্যরাতে পরিকল্পিতভাবে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধে হত্যার পর স্ত্রীকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েও শেষ রক্ষা পায়নি প্রবাসফেরৎ স্বামী সোয়েল আহমদ সুমন (৩৪)। স্বজন ও এলাকাবাসির সহযোগিতায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। সোয়েল আহমদ সুমন উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের রজব আলীর ছেলে।
জানা গেছে, দুই বছর পূর্বে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের প্রবাসফেরৎ যুবক সোয়েল আহমদ ১০ বছর আগের প্রথম বিয়ের ঘটনা গোপন করে উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের টেকাহালী গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে নাদিয়াতুল ফেরদৌসকে (২২) বিয়ে করে। সম্প্রতি সোয়েল আহমদ সুমনের আগের বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ও সুমনের ফোনে প্রায়ই বিভিন্ন নারীর ফোন কল আসায় স্ত্রী নাদিয়াতুল ফেরদৌস এসব ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় সুমন। স্বামীর নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকলে সোমবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় সে বাবার বাড়ি চলে যায়। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে সোয়েল আহমদ সুমন শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্বামী-স্ত্রী একত্রে রাত্রিযাপন করে। মধ্যরাতে সোয়েল আহমদ সুমন শ্বশুরকে ফোনে জানায় তার স্ত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর সে পালিয়ে যায়। পরে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নাদিয়াতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে এলাকাবাসির সহযোগিতায় পুলিশ সুমনকে গ্রেফতার করে।
নিহত গৃহবধূর চাচাতো ভাই ইসলাম উদ্দিন জানান, বাড়ির লোকজন শয়নকক্ষে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা, নাদিয়াতুল ফেরদৌস ফ্যানের সাথে ঝুলে থাকলেও পা মাটিতে রয়েছে। অজ্ঞাত সহযোগি নিয়ে ভগ্নিপতি সোয়েল আহমদ সুমন তার চাচাতো বোনের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধে হত্যার পর আত্মহত্যা সাজাতে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
বড়লেখা থানার ওসি মো. আবুল কাশেম সরকার জানান, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ বুধবার সন্ধ্যায় স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূর বাবার হত্যা মামলায় গ্রেফতার আসামি সোয়েল আহমদ সুমনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।