প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাত শাবি ছাত্রলীগ নেতার
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ মে ২০২৫, ৯:১৫:৩৫ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাত করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ। প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাতের পর নিজের শরীরেও ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেন তিনি। বর্তমানে দু’জনই সিলেটের দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগর এলাকায়।
পার্থ’র গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের নৌকাখালি গ্রামে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর সিলেটে আত্মগোপনে ছিল সে। আহত তরুণী (২৬) সুনামগঞ্জের স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে দু’জনের মাঝে প্রেমের বিচ্ছেদ ঘটে। এর মধ্যে মেয়েটির বিয়ে ঠিক করা হয় এবং রোববার (১ জুন) বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। এ উপলক্ষে মেয়েটিকে সুনামগঞ্জ শহরে ভাইয়ের বাসায় নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটি তার ভাবির সাথে পার্লারে যেতে বের হলে পার্থ তাকে অনুসরণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটাকে পার্থ ডেকে নিয়ে শরীরে ছুরিকাঘাত করে। পরে মেয়েটির স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এদিকে, সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ পার্থকে শহরের ধোপাখালী শ্মশানঘাট এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে।
মেয়েটির স্বজনরা জানান, শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ মেয়েটিকে হুমকিধমকি দিতো। তারা একই বিশ্বিবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হওয়ার পূর্ব পরিচয় ছিলো। হুমকির বিষয়টি পার্থর পরিবারকে জানানো হলে সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটিকে অনুসরণ করে সে শহরের হাছননগর এলাকার মার্কেটে আসে। একপর্যায়ে মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তার শরীরে ৯ টি গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মনিবুর রহমান বলেন, পার্থ মেয়েটিকে কুপিয়ে শহরের ধোপাখালী শ্মশানঘাটে আত্মগোপন করে নিজের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নিজের শরীরে আঘাত করে। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পার্থকে গ্রেফতার করে। পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পার্থ ও মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পার্থ বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছে। মেয়েটি সিলেটের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।