ভারী বৃষ্টিপাতে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মে ২০২৫, ৯:২৭:৫৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ভারী বৃষ্টিপাতে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় কেটেছে সিলেট নগরীর বাসিন্দাদের। গতকাল শনিবার (৩১ মে) কার্যত অচল ছিল জনজীবন। নগরীর বিভিন্ন শপিং মল ছিল ক্রেতা শুন্য। অনেক সড়ক ছিল পানির নিচে। জরুরি কাজ ছাড়া বাসা থেকে বের হননি নগরবাসী।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেট। ১২ ঘণ্টায় মোট ১৯৮.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে। ফলে সিলেট নগরের বিভিন্ন সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে জরুরি প্রয়োজনে যারা বের হয়েছিলেন, তারা পড়েছেন ভোগান্তিতে। নগরীর আম্বরখানা, বিমানবন্দর সড়ক, শিবগঞ্জ, উপশহর, তেলিহাওরসহ বিভিন্ন সড়কে হাঁটু পানি দেখা গেছে।
বাংলাদেশ আবহওয়া অধিদপ্তর সপ্তাহজুড়ে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। শনিবার সকাল থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। তবে এর মধ্যে তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। আজ থেকে আগামী ৪-৫ দিন সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসে শঙ্কায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসা বাণিজ্য জমে ওঠে। কিন্তু এবার প্রতিকূল আবহাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নগরীর ব্যবসায়ীরা। কোরবানির পশুর হাটের ব্যবসায়ী ও ইজারাদারদেরও উৎকণ্ঠার শেষ নেই। আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি না হলে মাথায় হাত পড়বে ব্যবসায়ীদের, এমনটাই বলছেন কোরবানীর হাটের ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা। ঈদুল আজহায় কামাররাও ব্যস্ত সময় পার করেন। কিন্তু এবার ব্যবসা নিয়ে তারাও শংকিত।
নগরীর নয়াসড়ক এলাকার ব্যবসায়ী আফজাল হোসাইন বলেন, ঈদুল আজহায় কাপড়ের ব্যবসা ঈদুল ফিতরের মতো না হলেও মোটামুটি ভালো বিক্রি হয়। তবে এবার আবিহাওয়া প্রতিকূল থাকায় ক্রেতা তেমন নেই।
টিলাগাড় পশুর হাটের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. লিলু মিয়া বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি এমন থাকলে মাথায় হাত পড়বে ইজারাদারদের। এরকম আবহাওয়ায় কোরবানির পশু ও ক্রেতা কম আসবে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হবো আমরা।