জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুন ২০২৫, ১২:২৩:১০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বাতিল ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে দলটির দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়টিও নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এক যুগ পর সেই রায় বাতিল করে দিলো আপিল বিভাগ।
আজ রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়। গত ১৪ মে আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
ঐতিহাসিক এ রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ভোটের রাজনীতিতে ফেরার এমনকি দলীয় প্রতীক নিয়ে আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খুলল জামায়াতে ইসলামীর।
রায়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনজীবী শিশির মনির। তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগ এই রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন এবং হাইকোর্টের রায় বাতিল করে নির্বাচন কমিশনকে নিবন্ধনসহ অন্যান্য বিষয়ে ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আদালতের কাছে সংক্ষিপ্ত কপি চেয়েছি। আশা করছি আগামীকালের (সোমবার) মধ্যে এটি পাওয়া যাবে। এটা পেলে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।
প্রতীক দাঁড়িপাল্লার বিষয়টি আজকের সংক্ষিপ্ত রায়ে বুঝা না গেলেও আদালত নির্বাচন কমিশনকে অন্যান্য বিষয়গুলো সমাধান করার যে নির্দেশনা দিয়েছেন এর মাধ্যমে প্রতীকের বিষয়টি বুঝানো হয়েছে বলে জানান শিশির মনির। তবে আগামীকাল রায়ের সংক্ষিপ্ত কপিটি পেলে এটি আরও পরিষ্কার হবে।
জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা একই বছর আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে জামায়াতে ইসলামী।