সিলেটে ২ দিনে বজ্রপাতে নিহত ৪
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুন ২০২৫, ৯:৩১:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সিলেট বিভাগে বজ্রপাতে আরো একজন মারা গেছেন। রোববার সকালে ৬টার দিকে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক মো. সেলিম মিয়া (৩৫)। সে মির্জাপুর গ্রামের হাজী আব্দুল গফুরের পুত্র।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির পাশে মাছ ধরতে গিয়ে সকাল ছয়টায় বজ্রপাতের কবলে পড়েন ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনা স্থলে মারা যায় সে।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে শাল্লা থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সকালে বজ্রপাতে মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত হয়েছি।
এর আগে গত শনিবার সিলেট বিভাগে পৃথক বজ্রপাতে মারা যান ৩ জন। এরমধ্যে সিলেটের কানাইঘাট, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা এবং হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার একজন রয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষ রয়েছেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কানাইঘাট উপজেলার সুরমা নদীর চাপনগর নামক এলাকায় বজ্রপাতে তাজুল ইসলাম (৩৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির উত্তর লক্ষ্মী প্রসাদ (কুকুবাড়ী) গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাজুল ইসলাম ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাত্রী নিয়ে সুরমা নদী হয়ে কানাইঘাট বাজারে আসছিলেন। আসার পথে সুরমা নদীর চাপনগর নামক এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ বজ্রপাত হলে তিনি নদীতে পড়ে যান। নদীতে পড়ে যাওয়ার পর নৌকার যাত্রীরা পানিতে খোঁজতে থাকলেও তাৎক্ষণিক তার কোন সন্ধান পাননি। প্রায় আধা ঘণ্টা পর পৌরসভার খেওয়াঘাট এলাকায় সুরমা নদীতে তার নিথর দেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আউয়াল জানান, নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এদিকে, শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার শয়তান খাল নামক নদীতে গোসল করতে গিয়ে বজ্রপাতে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম আয়েশা আক্তার (৬৫)। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের মগুয়ারচর গ্রামের মৃত কুদ্দুস আলীর স্ত্রী।
এছাড়া শনিবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের শৈলাগর হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক ব্যক্তি। নিহতের নাম মরশিদ মিয়া (৫১)। তিনি রামপুর গ্রামের মৃত হাসেম আলীর পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো তিনি শৈলাগর হাওরে মাছ ধরতে যান। সন্ধ্যার দিকে আকস্মিকভাবে আকাশে মেঘ জমে এবং শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টি। এসময় হাওরের মাঝখানে থাকা অবস্থায় হঠাৎ এক প্রচন্ড বজ্রপাত ঘটে, যা মরশিদ মিয়াকে আঘাত করে। স্থানীয় লোকজন দ্রুত ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো: কামরুজ্জামান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।