বৃষ্টি কমলেও বাড়ছে পানি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুন ২০২৫, ৮:৩৩:০২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: বৃষ্টি কমলেও সিলেটে বাড়ছে পানি। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদিনে সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ২ মিলিমিটার। যা আগের ২দিন রবি ও সোমবার সারাদিনে ছিল ৩০ দশমিক ২ মিলিমিটার। ফলে আগের তুলনায় সিলেটে বৃষ্টি কমেছে, মঙ্গলবার দুপুরের পর দেখা গেছে এক চিলতে রোদও। তবে বৃষ্টি না থাকলেও নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যহত আছে। সুরমা ও কুশিয়ারায় আগের দিন অর্থাৎ সোমবার বিপদসীমা ছাড়ানো ৪ পয়েন্টে পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত পাহাড়ি ঢলের কারণে এই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে পাউবো সূত্রে জানা গেছে। তারা বলছে নতুন করে বৃষ্টি না হলে দু একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার শূণ্য দশমিক ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল, যা আগের দিন ছিল শুণ্য দশমিক ৯১ সেন্টিমিটার।
অমলশিদে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ১ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল, যা আগের দিন ছিল ১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার । শেওলায় কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার শূণ্য দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল, যা আগের দিন ছিল শূণ্য দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার শূণ্য দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল, যা আগের দিন ছিল শূণ্য দশমিক ৩৯ সেন্টিমিটার।
সুরমা ও কুশিয়ারা নদী ছাড়াও জেলার ধলাই, লোভা, সারি ও ডাউকি নদ-নদের পানি বেড়েছে। কেবল সারি-গোয়াইন নদের পানি গতকালের চেয়ে আজ কিছুটা কমেছে।
এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও ওসমানীনগর উপজেলার নদ-নদীর পানি বাড়ছেই। অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। এ ছাড়া বেশ কিছু গ্রামীণ রাস্তা তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় অনেকেই পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এতে বন্যাকবলিত মানুষজন দুর্ভোগে পড়েছেন।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ গণমাধ্যমকে বলেন, সিলেটে বৃষ্টি ধীরে ধীরে কমে এলেও ভারত থেকে সীমান্তবর্তী নদ-নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢল আসা অব্যাহত আছে। এতে বৃষ্টি কমলেও পানি বাড়ছে। তবে ভারতেও বৃষ্টি কমে আসছে। এ ছাড়া ভাটিতেও পানি দ্রুত গতিতে চলে যাচ্ছে। তাই নতুন করে বৃষ্টি না হলে দু-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আমরা ধারণা করছি।