সরগরম মসলার বাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৫, ৬:৫৯:৫৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : আর ক’দিন পরেই আগামী ৭ জুন উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে সরগরম সিলেট নগরীর মসলার বাজার। পাইকারি বাজার কালীঘাটের পাশাপাশি বিভিন্ন বাজারের গ্রোসারি শপেও মসলা বিক্রির ধুম পড়েছে। কোরবানির ঈদে সবচেয়ে বেশি উপকরণ লাগে মসলার, তাই মসলার বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের সংকট না থাকায় এবং আমদানি বাড়ায় এবারের মসলার বাজার স্থিতিশীল। বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০-৪০ শতাংশ মসলাভেদে দাম কমেছে। ফলে বিক্রি অন্য বছরগুলোর তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। আগামী কয়েকদিন আরও বেশি বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে সিন্ডিকেট না থাকায় আগের চেয়ে সব মসলার দাম কমেছে। তবে শুধুমাত্র এলাচের দাম অস্বাভাবিক। বাকি সবগুলো মসলা আগের চেয়ে কমেছে। ফলে স্বাচ্ছন্দে বাজার করতে পারছেন তারা। এবারের ঈদের মসলার বাজার নিয়ে সন্তুষ্ট ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই, এমনটি জানালেন ব্যবসায়ীরা।
নগরের কালীঘাট ও বন্দরবাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি দোকানে মানভেদে প্রতিকেজি এলাচ ৪৬০০-৫০০০, জিরা ৫৫০-৬৫০ টাকা, দারুচিনি ৪০০-৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১৩৫০-১৪৫০ টাকা, কালো গোলমরিচ কেজি ১৪০০-১৫০০, কিশমিশ ৫৫০-৬৫০ টাকা, আদা ১০০ টাকা কেজি, রসুন ১২০-১৪০ টাকা ও পেঁয়াজ ৫০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এক বছর আগের অর্থাৎ ২০২৪ সালের কোরবানি ঈদের মসলার বাজারের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখো গেছে, ওই বছর দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, জিরা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, এলাচ প্রকারভেদে ৩২০০-৪০০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৪০০ টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকা, রসুন ২৪০-২৬০ টাকা ও আদা ২৬০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সরজমিনে খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের চেয়ে মসলার দাম প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেশি। ইসলামপুর (মেজরটিলা) বাজারের ক্রেতা নাছিমা বেগম, বলেন, খুচরা বাজারে দাম বেশি নিলেও সেখান থেকে কিনতে হচ্ছে। কারণ অল্প পরিমাণ মসলাতো আর পাইকারি বাজার থেকে কেনা যায় না। তিনি বলেন, এবার মসলার দাম কিছুটা কম আছে।
কালীঘাটের ক্রেতা মো. হেলন মিয়া বলেন, পরিবার বড় হওয়ায় খরচ বেশি লাগে। তাই সবসময় কালীঘাট থেকে বাজার করি। এবারও ব্যতিক্রম নয়। এখান থেকে বিভিন্ন ধরণের মসলা কিনেছি। অন্য বারের তুলনায় দাম কিছুটা কম আছে।
কালীঘাটের ব্যবসায়ী মো. কয়েছ মিয়া বলেন, অনেক মসলা দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। তাই মসলার দাম অনেকটা বিশ্ববাজারের ওপর নির্ভর করে। তবে পাইকারি বাজারে মসলা যে দামে বিক্রি করা হয়, খুচরা বাজারে তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়ার কারণে অনেকে মনে করেন পাইকারি বাজারেও মসলার দাম বেড়েছে।
কালীঘাটের আরেক ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম বলেন, এখন মসলার সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তাই দাম আগের তুলনায় কম, বিক্রিও বেশি।
নগরের বন্দরবাজার এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, পাইকারি বাজার থেকে মসলা কিনে পরিবহন খরচ দিয়ে আনতে হয়। পরে প্যাকেজিং ও সংরক্ষণের খরচের জন্য দাম খুচরা পর্যায়ে কেজিতে কিছুটা বেশি রাখতে হয়। বন্দরবাজারের ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বিক্রি বেশ বেড়েছে। আগামী কয়েকদিন আরও বাড়বে।