সিলেটে বৃষ্টি কমলেও উজানী ঢল অব্যাহত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৫, ৭:৫৪:৪৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটে নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনও সুরমা ও কুশিয়ারার ৪ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে রয়েছে। এরমধ্যে ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বেড়েছে বাকি ৩ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে থাকলেও পরিমাণ কমেছে। বৃষ্টি কমে গেলেও ভারতের পাহাড়ি ঢলের কারণে পানির এই অবস্থা। তবে সিলেটে পানি কমলেও বেড়েছে সুনামগঞ্জে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী সিলেটে বুধবার সন্ধ্য ৬টা পর্যন্ত কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার শূণ্য দশমিক ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল, যা আগের দিন ছিল শুণ্য দশমিক ৯৯ সেন্টিমিটার।
অমলশিদে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ১ দশমিক ৬৫সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল, যা আগের দিন ছিল ১ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার । শেওলায় কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার শূণ্য দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল, যা আগের দিন ছিল শূণ্য দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার।
শুধু ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি আগের দিনের চেয়ে বেড়ে বিপদসীমার শূণ্য দশমিক ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল, যা আগের দিন ছিল শূণ্য দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার।
এদিকে ভারী বৃষ্টি না হলেও সুনামগঞ্জে সুরমাসহ জেলার প্রায় সব নদীর পানি বেড়েছে। উজানের পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় নদী ও হাওরে পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জেলাজুড়ে ভারী বর্ষণ না হলেও থেমে থেকে ঝরছে বৃষ্টি। একই সঙ্গে উজানের ঢলও অব্যাহত আছে। এতে জেলার নদ-নদী ও হাওর পানিতে টইটুম্বুর। এখন আবার ভারী বৃষ্টি হলেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। জানা গেছে, ভারী বৃষ্টি না হলেও সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, জগন্নাথপুর উপজেলা নিম্নাঞ্চলে পানি বেড়েছে। জেলার দোয়ারাবাজার ও তাহিরপুর উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড় দল ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।