নগরের পথে পথে পশু খাদ্যের পসরা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৫, ৭:৪৯:১২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র ঈদুল আজহা দরজায় কড়া নাড়ছে। দূরের নিভৃত পল্লী মফস্বল থেকে গবাদিপশু আসছে নগরে। ক্রেতারাও আড়মোড়া ভেঙে কিনতে শুরু করেছেন কোরবানির পশু। সেই সঙ্গে নগরে বেশ ভালোভাবেই চোখে পড়ছে গো-খাদ্যের পসরা। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কোরবানির হাটসহ অলিগলিতে বিভিন্ন ধরনের পশুখাদ্যের সম্ভার নিয়ে বসেছেন।
কোরবানির মাত্র দু’দিন আগে পশুর খাবার বিক্রির জন্য এখন নগরজুড়ে মৌসুমী পশুখাদ্য বিক্রেতার ছড়াছড়ি। বছরের অন্যান্য সময়ে তারা অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকলেও কোরবানির ঈদের আগে মাত্র দুয়েকদিনের পরিশ্রমে অনেক ভালো অঙ্কের টাকা আয়-রোজগার হয় বলে জানান পশুখাদ্য বিক্রেতারা।
বিক্রি হওয়া পশুখাদ্যের তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, গমের ভূষি, খেসার ডালের ভূষি, ধানের গুঁড়া, খড় ও ঘাস। গতকাল বুধবার (৪ জুন) সিলেট নগরীর ইসলামপুর, টিলাগড়, শিবগঞ্জ, মিরাবাজার ও জেল রোড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকায় পশুখাদ্য বিক্রির ভাসমান অনেক দোকান বসেছে।
জেল রোডের মৌসুমী গো খাদ্য ব্যবসায়ী রায়হান মিয়া জানালেন, ছোট আকারের প্রতি গোছা খড় বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। প্রতি গোছা ঘাস বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আর প্রতি গোছা বান ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিলাগড় পয়েন্টে পশুখাদ্য বিক্রি করছিলেন আয়াতুল্লাহ নামের এক তরুণ। তিনি জানান, অন্যান্য সময় তরি-তরকারি বিক্রি করলেও প্রতি ঈদে তিনি পশুখাদ্য বিক্রি করেন।
শিবগঞ্জ বাজারের পাশে গো খাদ্য বিক্রি করছেন সালমান। তিনি বলেন, সারাবছর অন্য কাজ করলেও এসময় ঘাস বিক্রিতেই সময় কাটবে তার। প্রতি আটি খড় ৩০০-৩২০ টাকা, ঘাস ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি। প্রতি কেজি গমের ভূষি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, খেসার ডালের ভূষি ৬০ টাকা, ধানের গুঁড়া ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব হাটে পশু খাদ্যের পাশাপাশি কোরবানির জন্য পাওয়া যাচ্ছে হোগলার চাটাই ও খাটিয়াও। প্রতি পিস চাটাই ১২০ থেকে ২০০ টাকা এবং খাটিয়া প্রতি পিস পাওয়া যাচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।
নগরের টিলাগড় রাজপাড়ার বাসিন্দা রায়হান আহমদ হেলন বলেন, গ্রামের মতো শহরে পশুর খাবার পাওয়া যায় না। এজন্য তিনি টিলাগড় পয়েন্ট থেকে কোরবানির পশুর জন্য খড় ও ঘাস কিনেছেন।