দা-চাপাতি বিক্রির ধুম
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৫, ৭:৫১:২৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার নানা সরঞ্জামের বিক্রি বেড়েছে। বিকিকিনিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিলেট নগরীর মহাজন পট্টিসহ বিভিন্ন বাজারের কামার ও হার্ডওয়্যার দোকানের ব্যবসায়ীরা। দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি কিনতে এসব দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় কামারদের তৈরি বটি ও চাপাতির জায়গা দখল করে নিয়েছে চীন ও ভারত থেকে আমদানি করা চকচকে, হালকা ও ধারালো হাতিয়ারগুলো। এসব বিদেশি হাতিয়ার তুলনামূলকভাবে দেখতে আকর্ষণীয় এবং দামেও কিছুটা সস্তা হওয়ায় ক্রেতারা সেগুলোর দিকেই ঝুঁকছে বেশি।
দোকান ঘুরে দেখা যায়, দেশীয় তৈরি হাতিয়ার চাপাতি, দা, বটি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছুরি বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে পিস হিসেবে। প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে মধ্যম আকারের চাপাতি কিনতে ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকার বড় হলে ওজনের কারণে দামও বেশি। গরু জবাইয়ের জন্য তৈরি বিশেষ ধরনের লম্বা ছুরি ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে বিদেশি হাতিয়ার চাপাতি বিভিন্ন আকারের ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ছুরি ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দামে পাওয়া যাচ্ছে।
বন্দরবাজারের কামার অঞ্জন দেবনাথ বলেন, দেশি হাতিয়ার মজবুত হয়। কিন্তু বিদেশি পণ্যের চকচকে রূপ দেখে অনেকেই তা কিনছেন। আগের মতো এখন অর্ডার নেই। পাইকারি অর্ডার থাকলে কাজের চাপ থাকে। কিন্তু দিন দিন সেটা কমে যাচ্ছে।
মহাজন পট্টির ভাইভাই হার্ডওয়ারের স্বত্বাধিকারী মো. কয়েছ মিয়া বলেন, কোরবানির সময় চাপাতি, ছুরি, বটি বিক্রির চাপ বেড়েছে। তিনি বলেন, বিদেশি হাতিয়ারের মধ্যে চাপাতি আর ছুরির চাহিদা বেশি এখন। ব্যবহার এবং রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হওয়ায় বাসাবাড়ির জন্য বিদেশি হাতিয়ার কেনেন ক্রেতারা।
মহাজন পট্টির ক্রেতা তৌফিক মিয়া বলেন, দেশি বটি ভালো হলেও এখন বিদেশি বটিগুলো অনেক হালকা, ধারও বেশি। রাখতেও সুবিধা। কোরবানির জন্য দেশীয় চাপাতি কিনলেও বাসায় ব্যবহারের জন্য বিদেশি চাপাতি আর ছুরি কিনতে হচ্ছে। এগুলোর মানও ভালো।