‘চ্যাট জিপিটি’র মতো অ্যাপস বানিয়ে সারা ফেললো বিশ্বনাথের মামুন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৫, ৮:০৫:২০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: মোবাইল দিয়ে চ্যাটজিপিটির মতো ‘নেক্সট’ অ্যাপস তৈরি করলো সিলেটের বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার এই অ্যাপসে যেকোন প্রশ্নের উত্তর জানা ও যেকোন লেখা তৈরি করা যাবে। তাছাড়া অ্যাপটিতে ‘সিলেটি আঞ্চলিক’ ভাষায়ও প্রশ্ন করলে মিলবে সকল উত্তর। আর সিলেটি ভাষায় এটাই প্রথম কোনো অ্যাপ। একই সাথে আব্দুল্লাহ আল মামুনের তৈরি করা অ্যাপে অনলাইনে সব ধরনের বই পড়া ও ডাউনলোড করা, লার্ণিং গেইম, ওয়াটসআপের মতো চ্যাটিং, ছবি ভিডিও পাঠানো, সাইনটিফিক ক্যালকোলেটর ব্যবহার, রিলস আপলোডও করা যাবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থেই এই ‘নেক্সট’ অ্যাপস তৈরি করে বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের একাদ্বশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ।
‘নেক্সট’ অ্যাপস উদ্ভাবনকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বরুনী গ্রামের নানু মিয়ার একমাত্র পুত্র। এক ছেলে, তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ৬ জনের সংসার নানু মিয়ার। ‘নেক্সট টেইলর’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে তার। আর আব্দুল্লাহও তার বাবার প্রতিষ্ঠানের নামে নিজের তৈরি করা অ্যাপসের নামও দিয়েছে ‘নেক্সট’। ছেলের উদ্ভাবন করা ‘নেক্সট’ অ্যাপসের ব্যাপারে পিতা তেমন একটা বুঝেন না, তবে মানুষের মুখ থেকে শুনে তিনি এটা বুঝতে পেরেছেন তার ছেলে কিছু একটা করে ফেলেছে। সবাই ছেলের প্রশংসা করছে, বিভিন্ন গণমাধ্যম সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। তিনি পুত্রের এমন সফলতায় গর্বিত। পুত্রের ভবিষ্যৎ সফলতার জন্য পিতা হিসেবে সবার কাছে দোয়া কামনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানায়, এআইয়ের যুগে স্কুল-কলেজ পড়ুুয়া শিক্ষার্থীদের চলমান জীবনকে আরেকটু সহজ করা লক্ষ্যেই ‘নেক্সট’ নামের অ্যাপস তৈরি করাই তার মূল উদ্দেশ্য। এই অ্যাপসে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে এবং যেকোনো লেখা চাইলে সহজেই তৈরি করে দিবে। বাংলা-ইংরেজিসহ ব্যবহার করা যাবে সিলেটি আঞ্চলিক ভাষায়ও। এছাড়া অনলাইনে সব বইপড়া, লানিং গেইম, ওয়াটসআপের মতো চ্যাটিং, ছবি ভিডিও পাঠানো, সাইনটিফিক ক্যালকোলেটর, রিলস আপলোডও করা যাবে। অ্যামাজনে এখন সেটা আপলোড হলেও শীঘ্রই তা ‘প্লে স্টোরে’ এই অ্যাপস আপলোড করা হবে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও জানায়, পড়ালেখায় এ অ্যাপস অনেকটা সহজ করে তুলবে। এ অ্যাপস তৈরি করতে তার সময় লেগেছে প্রায় ৫ মাস। প্রথমে ল্যাপটপে কাজ শুরু করে ছিল। হঠাৎ ল্যাপটপটি নষ্ট হয়ে গেলে সে মোবাইলের মাধ্যমেই অ্যাপসটির কাজ সম্পূর্ণ করে। ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ হলে অ্যাপস তৈরি করতে সময় আরও অনেক কম লাগতো।