সিলেটে বাস টার্মিনালে র্যাবের সাপোর্ট সেন্টার চালু
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৫, ৯:৫৩:২৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে ঈদযাত্রায় স্বস্তি আনতে কদমতলী কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে নিরাপত্তা জোরদার করেছে র্যাব-৯। মলমপার্টি, অজ্ঞানপার্টির কবল থেকে যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে চালু করা হয়েছে র্যাবের সাপোর্ট সেন্টার। বুধবার (৪ মে) দুপুরে র্যাব-৯ এর সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন করা হয়।
এসময় এক ব্রিফিংয়ে র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার) কে.এম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, পশুর হাটে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মলমপার্টি, পকেটমারদের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে নিয়মিত টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।তাছাড়াও যেকোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে র্যাব-৯ এর কুইক রেসপন্স টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
র্যাব জানায়, ঈদ উল-আযহা উপলক্ষ্যে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা প্রদান, পশুর হাটে অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রতিরোধ, বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে ষ্টেশন এবং লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের দূর্ভোগ নিরসনে র্যাব-৯ বিভিন্ন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৯ এর সেবা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার নিমিত্তে সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে র্যাব সার্পোট সেন্টার চালু করা হয়েছে। র্যাব সাপোর্ট সেন্টার হতে যেসকল সেবা পাওয়া যাবে সেগুলো হলো- অসুস্থ হয়ে পড়া যাত্রীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের নিমিত্তে প্্রাথমিক মেডিকেল সহায়তা, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হওয়া যানবাহন তাৎক্ষণিক মেরামতের জন্য দক্ষ মেকানিক দ্বারা যানবাহন মেরামত করার ব্যবস্থা এবং উক্ত সার্পোট সেন্টারগুলোতে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি দ্বারা মনিটরিং করা ও নিয়মিত অভিযোগ গ্রহণ করে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও পশুরহাটে জালনোট সনাক্তকরণে র্যাব-৯ এর বিশেষ বুথের মাধ্যমে জালনোট সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
র্যাব-৯ এর দায়িত্বাধীন এলাকায় বিশেষ চেকপোষ্ট স্থাপন করে বিভিন্ন ধরনের মোটরযানগুলো চেকিং এর আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়াও র্যাব-৯ এর তত্ত্বাবধানে খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল বিরোধী অভিযান, টিকেট কালোবাজারীসহ টিকেটের মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট চলমান রয়েছে।
আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে যেকোন ধরনের সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য র্যাব-৯ এর সাইবার মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।
এছাড়াও যেকোন সহিংসতা বা নাশকতার বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর। জনসাধারণের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উক্ত কার্যক্রম ঈদ পরবর্তী ৭ (সাত) দিন পর্যন্ত চলমান থাকবে।