সিলেটে বৃষ্টিহীন ঈদ জামায়াত, উৎসবের আবহ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জুন ২০২৫, ১১:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: আভাস ছিলো বৃষ্টির। কিন্তু হয়নি বৃষ্টি। সকাল থেকেই সিলেটের আকাশ রোদের আলোয় উজ্জ্বল । আর এমনই পরিবেশে সিলেটে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ উল আজহা।
বৃষ্টি বাধা ছাড়াই সিলেটের ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে নামায আদায় করেছেন মুসল্লিরা। ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে সিলেটের প্রধান জামায়াতে ছিল মুসল্লিদের ঢল। সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ জামায়াত কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে। ইমামের সাথে মুসল্লিদের মুখে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয় ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার’ তাকবির।
জামায়াতে ইমামতি করেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি জুনায়েদ আহমদ। খুতবা প্রদান করেন মাওলানা মুশতাক আহমদ খান।
সিলেটের সরকারি আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে আনজুমানে খেদমতে কুরআন এর উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৭টায় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইমামতি করেন অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী।
নগরীর দরগাহে হযরত শাহজালাল রহ: মাজার জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল আযহার জামায়াত সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন দরগাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা আসজাদ আহমদ।
নগরীর কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে পৃথক তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়, ইমামতি করেন শায়েখ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী। দ্বিতীয় জামাত ৮টায়, ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা মাওলানা মিফতাহ উদ্দীন আহমদ এবং তৃতীয় জামাত ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়, ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা হোসাইন আহমদ।
এছাড়াও সিলেট নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার মসজিদেও অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদের জামাত। জেলা ও মহানগর পুলিশের তথ্যমতে, নগরীর ৩৯০টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে ১৪২টি হয়েছে খোলা মাঠে এবং ২৪৮টি মসজিদে।
এছাড়া সিলেট জেলা জুড়ে আয়োজন করা হয় মোট ২ হাজার ৫৫১টি ঈদ জামাত।
এদিকে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। শাহী ঈদগাহ এলাকা ছিল চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা। মোতায়েন ছিল সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মোবাইল টিম, ট্রাফিক পুলিশ, ড্রোন নজরদারি ও রুফটপ ইউনিট। অন্যান্য এলাকাতেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় ছিল সার্বক্ষণিক। নগরবাসী, প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সেই সাথে কোরবানী বজ্য পরিষ্কারে সিলেট সিটি করর্পোরেশন দিয়েছে বার্তা। একই সাথে বজ্য দ্রুত অপসারণে তাদের ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিটি ওয়ার্ডে রয়েছে সিসিকের কর্মী বাহিনী।