ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদ্যাপিত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জুন ২০২৫, ১:২৭:১১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ত্যাগের মহিমা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উদযাপিত হয়েছে। ঈদের জামাত আদায় শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করেছেন। কোথাও কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব হচ্ছে ঈদুল আজহা, যা কোরবানির ঈদ হিসেবেও সমাদৃত। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের আদর্শে উদ্ভাসিত করে আসছে।
নামাজের আগে খতিবগণ খুতবায় কোরবানির তাৎপর্য তুলে ধরেন। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
স্থানীয় হিজরি মাস গণনা অনুযায়ী শুক্রবার সৌদি আরবে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হয়। এদিন সকালে মুজদালিফা থেকে ফিরে হাজিরা মিনায় অবস্থান করে পশু কোরবানিসহ হজের অন্যান্য কার্যাদি সম্পাদন করেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বেশকিছু গ্রামসহ বিশ্বের বহু দেশে শুক্রবার ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হয়।
এদিকে, সিলেটে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি জুনায়েদ আহমদ। জামাতের পুর্বে ঈদ-উল-আজহার তাৎপর্য বিষয়ক বয়ান পেশ করেন একই মসজিদের খতিব মাওলানা মুশতাক আহমদ খান।
শাহী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যান্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। এছাড়াও দরগাহ-এ হজরত শাহজালাল র. মাজার মসজিদ, কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদ, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা ময়দানসহ বিভিন্ন মাঠ, ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে মুসল্লিরা পরস্পর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
নির্বিঘ্নে, নিরাপদে ও আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে নগরীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এছাড়া কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণে সিটি কর্পোরেশণের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এবার ঈদের পর লম্বা ছুটি থাকায় ধারণা করা হচ্ছে ঈদের পরদিন অর্থাৎ আজ থেকে সিলেটের পর্যটন স্পটগুলো ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে। পর্যটন এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পর্যটন পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।