দেশে ৯১ লাখ পশু কোরবানী : বেশি রাজশাহী, কম সিলেটে
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুন ২০২৫, ১১:১৪:৪৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : এবার ঈদুল আজহায় দেশে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে। এই হিসাব সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের।
এই ঈদে গরু-মহিষ কোরবানি হয়েছে ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি। ছাগল-ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি এবং অন্যান্য প্রাণী (উট, দুম্বা ইত্যাদি) কোরবানি হয়েছে ৯৬০টি। মঙ্গলবার রাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্তরায়িত দৈব নমুনায়নের (স্ট্র্যাটিফায়েড র্যান্ডম স্যাম্পলিং) ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে পশু কোরবানির এই হিসাব করা হয়েছে। এ জন্য প্রতিটি উপজেলার তিনটি গ্রাম (ছোট, মাঝারি ও বড়) থেকে অন্তত ১ শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের গত বছরের হিসাব অনুযায়ী, গত ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি পশু কোরবানি দেওয়া হয়। সে হিসাবে এ বছর পশু কোরবানি কমেছে, সংখ্যার হিসাবে যা ১২ লাখ ৭২ হাজার ১৮৪।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব বিবেচনায় নিলে গত চার বছরের মধ্যে এই ঈদে পশু কোরবানি সবচেয়ে কম হয়েছে। অধিদপ্তরের গত ৯ বছরের (২০১৭ থেকে ২০২৫) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সবচেয়ে কম কোরবানি হয়েছিল ২০২১ সালে। ওই বছর ৯০ লাখ ৯৩ হাজার পশু কোরবানি দেওয়া হয়। অবশ্য তখন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনা মহামারির প্রকোপ ছিল। সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছিল ২০১৯ সালে। ওই বছর এক কোটি ছয় লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়।
কোরবানি বেশি রাজশাহীতে, কম সিলেটে :
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর পশু কোরবানি সবচেয়ে কম হয়েছে সিলেট বিভাগে। এই বিভাগে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২৩টি পশু কোরবানি হয়েছে। সিলেটের পর সংখ্যার দিক থেকে কোরবানি কম হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এই বিভাগে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৬২টি পশু কোরবানি হয়েছে।
এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে, ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১টি। ঢাকা বিভাগে পশু কোরবানি হয়েছে ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪০টি।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২টি, রংপুর বিভাগে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯টি, খুলনা বিভাগে ৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪টি এবং বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৭৮৩টি পশু কোরবানি হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন মো. রুহুল আমিন মুঠোফোনে বলেন, মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা হয়তো ভালো না, যার কারণে এবার কোরবানি কম হয়েছে। সাধারণত রাজনৈতিক নেতারা কোরবানির জন্য বড় আকারের গরু কেনেন। আবার অনেক নেতা একাধিক গরু কোরবানি দেন। আওয়ামী লীগের (এখন কার্যক্রম নিষিদ্ধ) অনেক নেতা এখন পলাতক। এর প্রভাব কোরবানির পশু বিক্রির ক্ষেত্রে পড়তে পারে।