নগরে ঈদের রাতে তরুণীকে দলবেধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুন ২০২৫, ৯:০৬:৩০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট নগরীতে ঈদের রাতে তরুণীকে দলবেধে ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (৮ জুন) সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার কদমতলীস্থ যমুনা মার্কেটের দ্বিতীয় তলার ডায়মণ্ড আবাসিক হোটেল থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ঐ হোটেলের ম্যানেজার, সুনামগঞ্জের লালপুর গ্রামের আজাদ মিয়ার ছেলে লুৎফুর রহমান (৪৫), হোটেলের নৈশপ্রহরী ও ওসমানীনগর থানার মোল্লাপাড়ার লাল উল্ল্যাহর ছেলে খিজির আহমদ (৩৫)।
পুলিশ জানায়, শনিবার ঈদের রাত ১০টার দিকে ঢাকা থেকে কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে আসেন এক গার্মেন্টসকর্মী। বাড়ি ফেরার বাস না পেয়ে তিনি একটি আবাসিক হোটেল খুঁজতে থাকেন। এসময় রিফাত ওরফে মুরাদ নামের এক যুবক তাকে হোটেলে তুলে দেওয়ার কথা বলে ডায়মণ্ড আবাসিক হোটেলে নিয়ে আসেন। রাত ৩টার দিকে হোটেলের ম্যানেজার জোর করে রুমে প্রবেশ করে ঐ গার্মেন্টসকর্মী তরুণীকে ধর্ষন করেন। পরে রুমের ভেতর নৈশপ্রহরী খিজির আহমদ (৩৫), রিফাত ওরফে মুরাদ (২৫) ও তানভীর (৩০) নামের অপর এক যুবককে ঢুকিয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। তারা ভোর ৬টা পর্যন্ত পালাক্রমে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
রোববার (৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে হোটেলের ম্যানেজার লুৎফুর রহমান তরুণীকে হোটেলের বাইরে রেখে যায়। পরে এক বাসস্টাফ তরুণীকে কদমতলী বাসস্ট্যান্ডস্থ র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে যান। অভিযোগ পেয়ে র্যাব বিষয়টি দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ নির্যাতিতা তরুণীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে এবং সন্ধ্যা ৬টার দিকে ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ম্যানেজার লুৎফুর রহমান ও নৈশপ্রহরী খিজির আহমদকে গ্রেফতার করে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণ সুরমা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।