নিত্যপণ্য বাজারে কিছুটা স্বস্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুন ২০২৫, ৯:৪৭:১২ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : ঈদুল আজহার পর বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি যেমন কম, অন্যদিকে অনেক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে এই সময়ে স্বাভাবিক রয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার। এছাড়া ঈদের আগ মুহূর্তে মুরগি, শসাসহ কিছু পণ্যের যে দাম বেড়েছিল, সেটিও স্বাভাবিক হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, আম্বরখানা, রিকাবীবাজার, কাজিরবাজার ও মদীনামার্কেটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কিছু বিক্রেতা পণ্য সাজিয়ে বসে আছেন, তবে ক্রেতা কম। এতে অনেকটাই কম দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ নিত্যপণ্য।
এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পণ্য আসছে, তবে ক্রেতা কম আছে। দু-এক দিনের মধ্যে আবার বাজার জমে উঠবে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি করলা ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৩০ টাকা, আলু ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, লতি ৪০ ও পটোল ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে টমেটো কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০-১০০ টাকায়। আর প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়।
গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের কিছুটা দাম বেড়েছে। চাষের রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশ কেজিতে বেড়েছে ২০-৫০ টাকা। প্রতি কেজি চাষের রুই ও কাতলা ৩২০-৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২৩০-২৫০ টাকা ও পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি চাষের চিংড়ি ৭০০-৮০০ টাকা এবং নদীর চিংড়ি ৯০০-১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়, যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০০-২০০ টাকা বেশি।
প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৬০-২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।
প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা। কিছুটা ছোট আকারের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
এদিকে ঈদের পরও কিছুটা চড়া পেঁয়াজের বাজার। খুচরা পর্যায়ে ভালো মানের প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আদা ও রসুন। বাজারভেদে প্রতি কেজি আদা মানভেদে ১২০-১৮০ টাকা এবং দেশি রসুন ১৬০-১৮০ টাকা ও আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।