শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ঘুষ বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি : পরিকল্পনা উপদেষ্টা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুন ২০২৫, ৯:৩৩:৩০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি ঘুষবাণিজ্য হয় বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেছেন, আমার জানামতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি ঘুষ বাণিজ্য হয়, আর সেটির বেশিরভাগই বদলিকে কেন্দ্র করে। আমি গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে খোঁজ নিয়েছি, তারা বলেছে, এখানে মধ্যস্বত্বভোগী অনেক। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত সিটিজেন পারসেপশন সার্ভের (সিপিএস) তথ্য প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ জরিপটি বিবিএস চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশব্যাপী পরিচালনা করে। ৬৪ জেলার ১ হাজার ৯২০টি প্রাইমারি স্যাম্পলিং ইউনিট (পিএসএল) থেকে ৪৫ হাজার ৮৬৮টি মৌজা বা মহল্লার— ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট ৮ লাখ ৩১ হাজার ৮০৭ জন নারী-পুরুষ উত্তরদাতার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
তথ্য প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক সচিব ড. কাইয়ুম আরা বেগম, তথ্য ও পরিসংখ্যান সচিব আলেয়া বেগম। এতে সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে ঘুষ প্রসঙ্গে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমার ধারণা ছিল সবাইকে ঘুষ দিতে হয়। তারপরও জরিপে উঠে এসেছে ৩১ শতাংশ নাগরিককে ঘুষ দিতে হয়। নারীদের কাছে তুলনামূলক ঘুষ কম চাওয়া হয়েছে। তুলনামূলক উচ্চবিত্তরা ঘুষ দেন বেশি। ঘুষ দিয়ে তারা মূলত সেবা কিনে নেন।
বিবিএসের জরিপে বলা হয়েছে, সরকারি সেবাখাতে সবচেয়ে বেশি ঘুষ ও দুর্নীতির শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে সেবা গ্রহণকারী জনগণ। এরপরেই রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের এই দুর্নীতির তথ্যে হতাশা ব্যক্ত করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, তারা তো এখনও দাঁড়াতেই পারেনি, তারপরও তারা দ্বিতীয় অবস্থানে, এটি ভালো কথা নয়। তিনি বলেন, আমার জানামতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি ঘুষ বাণিজ্য হয়। আর সেটি বেশিরভাগই বদলিকে কেন্দ্র করে। আমি গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে খোঁজ নিয়েছি, তারা বলেছে, এখানে মধ্যস্বত্বভোগী অনেক। তাছাড়া পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতিও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।