নিউজ প্রকাশের পর হার্ড লাইনে বিজিবি : বন্ধ সাদাপাথর লুটপাট
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুন ২০২৫, ৬:২৯:১৬ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি:
গত প্রায় ১০ মাসে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে বাংকার ও সাদাপাথর এলাকা থেকে প্রায় ৩’শ কোটি টাকার পাথর লুটপাট হয়েছে। পুলিশ বিজিবি ও প্রশাসনের নমনীয় নীতিতে ধ্বংস হয়েছে রোপওয়ে বাংকার, লুটপাট শুরু হয় সাদাপাথরেও। কিন্তু দৈনিক জালালাবাদ ও আমার দেশ পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পর হার্ড লাইনে যায় বিজিবি। পাথর লুটপাটে তাদের জিরো টলারেন্সে বন্ধ হয় সাদাপাথর লুটপাট।
৫ আগষ্টের আগে বিজিবির কঠোর অবস্থানের কারণে রোপওয়ে বাংকার ও সাদাপাথর এলাকা থেকে একটি নৌকাও পাথর লুটপাট করতে পারেনি। কিন্তু গত ১০ মাসে পুলিশ বিজিবি কিংবা প্রশাসন তাদের পূর্ণ শক্তি ব্যবহার না করায় ধ্বংস হয়েছে রোপওয়ে বাংকার। সেখানে থাকা ব্রিটিশ আমলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মালামাল।
ধলাই নদীর দু’পাড় ঘুরে দেখা গেছে পাথর বুঝাই কোন নৌকা নদীতে চলাচল করছে না। তাছাড়া রাস্তায়ও পাথর বহনকারী ট্রাক ও ট্রাক্টর দেখা যায়নি। এদিকে পাথর ভাঙ্গা রোধে ক্রাশার মিল গুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত বুধবার তাদের মোবাইল কোর্টের অভিযানে ১৫টি ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিজিবির কঠোর অবস্থানের কারণে নৌকা নিয়ে সাদাপাথর এলাকায় যাওয়া যাচ্ছে না। ৪টি নৌকা দিয়ে বিজিবি সাদাপাথর এলাকা পাহারা দিচ্ছে। তাছাড়া আগে যারা বিজিবির লাইনম্যান পরিচয় দিত তারাও আর বিজিবির ক্যাম্পে যেতে পারছে না। বিজিবির এমন শক্ত অবস্থানে সুনশান নিরব সাদাপাথর এলাকা।
এলাকার সচেতন নাগরিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে ধলাই নদীর পাথর লুটপাট। তারা বলেন, বিজিবি চাইলে সব কিছু সম্ভব তা বর্তমানে প্রতীয়মান। বিজিবির এক ঘোষণায় বন্ধ হয়ে গেছে পাথর লুটপাট। তবে এই পদক্ষেপ আরো আগে নিলে সাদাপাথরে রক্ষা পেত রোপওয়ে বাংকারও।