ইসির সাবেক তিন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুন ২০২৫, ৬:৩৮:১০ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক:
২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি। পাশাপাশি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
রোববার সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি এবং মামলার আবেদনের কপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরউদ্দীনের কাছে হস্তান্তর করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান। এ সময় প্রতিনিধি দলে ছিলেন মো. মিজানুর রহমান, ইকবাল হোসেন, শরিফুল ইসলাম এবং নাঈম হাসান।
সালাহ উদ্দিন খান জানান, “বিতর্কিত তিন নির্বাচনে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন ইসি কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চাইছি এবং শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় নির্বাচনে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ, যা ‘বিনা ভোটের সংসদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে রাতে ভোট বাক্স ভর্তি এবং ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে, যা ‘নিশিরাতের নির্বাচন’ হিসেবে সমালোচিত হয়। আর ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বিএনপি ও সমমনা দলগুলো বর্জন করলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সমঝোতা এবং বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে এটি ‘আমি আর ডামি’ নির্বাচনে পরিণত হয়।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ, কেএম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং তাদের কমিশনের সদস্যদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করবে বিএনপি। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও মামলায় আসামি করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা হবে।
সালাহ উদ্দিন খান বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তারা আইন মেনে নিরপেক্ষভাবে ব্যবস্থা নেবেন।”
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ২০২৪-এ শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এর আগে, ১৬ জুন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনে ইসির ভূমিকা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।