বিএনপি নেতা এড. গাফফারের ইন্তেকাল, কাল জানাযা : মহাসচিবের শোক
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুন ২০২৫, ১০:১০:২৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের প্রবীণ বিএনপি নেতা, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল গফফার আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি রোববার (২২ জুন) বেলা দেড়টায় নগরীর একটি বেসরকারী হাসাপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
জীবদ্দশায় বিএনপি বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এডভোকেট আব্দুল গাফফারের জানাযা সোমবার (২৩ জুন) বাদ আসর দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ১০নং রোড মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি মহাসচিবের শোক :
সিলেট জেলা বিএনপির সিনিয়র উপদেষ্টা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল গফ্ফারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল গফ্ফার এর মৃত্যুতে তার পরিবার-পরিজনদের মতো আমিও গভীরভাবে সমব্যথী। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম-এর নীতি ও আদর্শ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনে ছিলেন গভীরভাবে আস্থাশীল। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রামে তার সাহসী ও সক্রিয় ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। মহান রাব্বুল আলামীন যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন এবং শোকাহত পরিবারকে এই শোক সইবার তাওফিক দান করেন।
বিএনপি মহাসচিব মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তাহসিনা রুশদী লুনার শোক :
অ্যাডভোকেট গফ্ফারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী তাহসিনা রুশদী লুনা।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, তিনি ছিলেন আদর্শনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে আজীবন কাজ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন একজন প্রথিতযশা আইনজীবী ও সমাজসেবক, যিনি সর্বমহলে ছিলেন শ্রদ্ধার পাত্র। তিনি গফ্ফার সাহেবকে একজন কর্মীবান্ধব, নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে অভিহিত করে তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান।
মুক্তাদিরের শোক :
সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আব্দুল গফফারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
রোববার এক শোক বার্তা তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতির এক নির্ভীক সৈনিক ছিলেন প্রবীণ এই নেতা। দলের ক্রান্তিকালে তিনি দায়িত্ব পালন করতেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে সবসময় থাকতেন সামনের কাতারে। তিনি আইনের শাসন, মানবিক মর্যাদা, মৌলিক-মানবাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। শোকবার্তায় তিনি প্রবীণ এই নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
মিফতাহ্ সিদ্দিকীর শোক:
এডভোকেট আব্দুল গফফারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মরহুম এডভোকেট আব্দুল গফফার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের একজন নিবেদিত প্রাণ ও বিপ্লবী সৈনিক ছিলেন। তিনি দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার এবং সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন। তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা কোন দিনও পুরন হওয়ার নয়। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
জেলা বিএনপির শোক :
এদিকে পৃথক এক শোকবার্তায় অ্যাডভোকেট আব্দুল গফ্ফার-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমেদ চৌধুরী।
যৌথ শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল গফ্ফার সিলেট জেলা বিএনপির একজন নিবেদিতপ্রাণ, সৎ ও সজ্জন নেতা ছিলেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে জেলা বিএনপি সংগঠিত ও গতিশীল হয়েছিল। তার মৃত্যুতে সিলেট বিএনপির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তারা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য, গুণগ্রাহী ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মহানগর বিএনপির শোক :
প্রবীণ বিএনপি নেতা এডভোকেট মো. আব্দুল গফফারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
এক শোকবার্তায় তারা বলেন, এডভোকেট আব্দুল গফফার একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হিসেবে দলের ক্রান্তিকালে বরাবরই জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নীতি ও আদর্শে গভীরভাবে আস্থাশীল এবং জাতীয়তাবাদী দর্শনে বিশ্বাসী একজন আপসহীন নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুতে দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হলো। যা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।