গুম কমিশনের মেয়াদ বাড়ল আরও ৬ মাস
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০২৫, ৬:২৭:৪১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সোমবার রাতে গুম কমিশনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
রাষ্ট্রপতির আদেশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার ‘কমিশন অব ইনকয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ এর সেকশন ৩-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২০২৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে গঠিত গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ এ বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
পাঁচ সদস্যের এ কমিশনের সভাপতি হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। বাকি সদস্যরা হলেন-হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।
পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা (এসবি), গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থার সদস্যের মাধ্যমে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সময়সীমা অনুযায়ী, ৩০ জুনের মধ্যে গুম কমিশনকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। এর আগে গুম কমিশনের মেয়াদ ১৫ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীতে ৩০ জুন পর্যন্ত এর মেয়াদ বাড়ায় সরকার।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে গত বছরের ২৭ আগস্ট পাঁচ সদস্যের গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার।এই কমিশনের কাছে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের শিকার ভুক্তভোগী নিজে অথবা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়স্বজন বা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযোগ জানিয়েছেন।