৩২ মিলিয়ন ডলারে টোটালগ্যাজ অধিগ্রহণ করছে ওমেরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০২৫, ৮:৩৪:০১ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : ৩২ মিলিয়ন ডলারে ফরাসি কোম্পানি টোটালগ্যাজের বাংলাদেশের ব্যবসা অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠানওমেরা পেট্রোলিয়াম। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৯০ কোটি। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে ফরাসি এই পেট্রোলিয়াম কোম্পানি।
সূত্র জানিয়েছে, এই চুক্তির আওতায় ১৯ মিলিয়ন ডলার ইক্যুইটিতে ব্যবহৃত হবে, বাকি ১৩ মিলিয়ন ডলার যাবে দায়-দেনা ও সম্পদ অধিগ্রহণে, যার মধ্যে ব্যাংক ঋণও রয়েছে। এই অধিগ্রহণের ফলে দেশের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বাজারে ওমেরার অবস্থান আরও দৃঢ় হবে। বর্তমানে ওমেরার বাজার হিস্যা ২২ শতাংশ, যেখানে টোটালগাজের হিস্যা প্রায় ৫ শতাংশ।
২০০২ সালে টোটালগ্যাজ বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের শীর্ষ তিনটি এলপিজি আমদানিকারক ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্থান করে নেয়। তবে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর আক্রমণাত্মক বিনিয়োগ এবং সম্পূর্ণ আমদানি-নির্ভর বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারেনি তারা।
বাংলাদেশে টোটালগ্যাজের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে এলপিজি আমদানি, সংরক্ষণ, বোতলজাতকরণ এবং ১২ কেজি, ১৫ কেজি ও ৩৩ কেজি সিলিন্ডারে বাজারজাতকরণ। শিল্প খাতের জন্য তারা বাল্ক বা পাইকারি সরবরাহও করে থাকে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তাদের ১ লাখ টন ধারণক্ষমতার টার্মিনাল এবং বগুড়ায় একটি সেকেন্ডারি স্থাপনাও রয়েছে।
ওমেরা পেট্রোলিয়ামের মালিক ওমেরা এলপিজি একটি যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি। এর ৬২ শতাংশ অংশীদারত্ব এমজেএল বাংলাদেশের, আর ২৫ শতাংশ অংশীদারত্ব হচ্ছে বিবি এনার্জি (এশিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাকি ১৩ শতাংশের অংশীদার নেদারল্যান্ডসভিত্তিক উন্নয়ন ব্যাংক-এফএমও।
২০১০ সালে যেখানে দেশের এলপিজি চাহিদা ছিল মাত্র ৭০ হাজার টন, সেখানে এখন বার্ষিক চাহিদা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭ লাখ টনে। প্রতি বছর এই খাত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে চাহিদা ৩০ লাখ টনে পৌঁছানোর পূর্বাভাস রয়েছে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ কমে আসার আশঙ্কায় সরকার ২০০০ এর দশকের শুরুতে নতুন গ্যাস সংযোগে বিধিনিষেধ আরোপ করে এবং এলপিজি ব্যবহারে উৎসাহ দেয়। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫৮টি এলপিজি ব্যবসার লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে।