ওসমানী বিমানবন্দরেও অভিবাসীরা পাবেন ব্র্যাকের সহায়তা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০২৫, ৮:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর এবার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও বিদেশ ফেরতদের জন্য জরুরি সেবা চালু করল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (ব্র্যাক)।
মঙ্গলবার দুপুরে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কনফারেন্স হলে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় সভা করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভায় বলা হয়, দেশে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রগ্রামে গত আট বছরে ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আরো অন্তত ১০ হাজার মানুষ সহায়তা পাবে।
পাশাপাশি সাত হাজার ৭০০ বিদেশ ফেরত মানুষ যেন দেশে আয় করতে পারে, সে জন্য তাদের ধাপে ধাপে আর্থিক সহায়তা করা হবে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমেদ। সিলেট জেলা প্রশাসনের প্রবাসী কল্যাণ শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা (সহকারী কমিশনার) পলি রাণী দেব বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মূল বিষয়বস্তুর ওপর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থান করেন ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন প্রগ্রাম অ্যান্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফরম) শরিফুল ইসলাম হাসান।
সভা সমন্বয়কের বক্তব্যে শরিফুল হাসান বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রামের পাশাপাশি সিলেটে ও বিদেশফেরতদের পাশে আমরা আছি। ব্র্যাক গত ৮ বছরে ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে বিমানবন্দরে জরুরি সহায়তা দিয়েছে। আমাদের অভিজ্ঞতায় মনে করি বিদেশফেরতদের সহায়তায় বিমানবন্দরে একটি কাঠামো বা এসওপি থাকা উচিত। যেখানে কার কী কাজ উল্লেখ থাকবে। আর শুধু জরুরি সহায়তা নয়, বিদেশফেরতদের কাউন্সেলিং ও অর্থ সহায়তাও করছি আমরা।’
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশফেরতদের জরুরি সেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিলেট বিমানবন্দরে ব্র্যাকের জরুরি সেবা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করবে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, ইমিগ্রেশন, এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক), জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, এপিবিএন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরসহ কর্মরত সব সংস্থা। আমাদের জরুরি সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রতিনিয়ত সহায়তা করে আসছে বলেই আমরা বিদেশফেরত অভিবাসীদের জরুরি সহায়তা প্রদান করতে পেরেছি।’
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ প্রধান অতিথির বলেন, ‘সেবা মানে মানবিকতা। প্রবাসীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে সবাইকে।
আমরা এই কাজটা সব সময় করার চেষ্টা করি। অভিবাসন প্রবণ জেলা হওয়ায় বিদেশ থেকে ফেরত আসার তালিকায়ও সিলেটের অনেক মানুষ আছে। ঢাকার পাশাপাশি যেহেতু সিলেটেও অনেক ফ্লাইট আসে, তাই অনেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়েই ফেরত আসেন। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক এখানে বিদেশ ফেরতদের নানা জরুরি সহায়তা দিচ্ছে। বিমানবন্দরে কর্মরত সবাই এই তথ্য জানলে আরও বেশি মানুষ এই সেবা পাবেন। সমন্বিতভাবে কাজ করলে আরো বেশি মানুষকে সহায়তা করা যাবে বলে আমরা মনে করি।’