রোটারি ক্লাবগুলো মানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে

সিলেটেও থেমে নেই রোটারি ক্লাবের সেবামূলক কার্যক্রম। রোটারি ক্লাব নগরীর মানিক পীর রোডে প্রায় ৩০ বছর ধরে একটি প্রতিবন্ধী হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং শহরতলীতে গত ৫ বছর ধরে একটি চক্ষু হাসপাতাল পরিচালনা করছে। সেই সাথে প্রতিটি ক্লাব স্থানীয়ভাবে গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, মেডিকেল ক্যাম্প ও ফ্রি খতনা প্রকল্পসহ নানামুখী সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। রোটারি ক্লাবগুলো আর্ত মানবতার সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে রোটারি বর্ষ ২০২৫-২৬ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন রোটারি ক্লাব নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, মানব সেবার পাশাপাশি নবীনদের মধ্যে নেতৃত্বগুণ ও সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে রোটারেক্ট ও ইন্টারেক্ট ক্লাবগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখছে। রোটারির বৈশ্বিক কর্মসূচি, বিশেষ করে ‘অ্যান্ড পোলিও নাও’ এর উদ্যোগে বাংলাদেশে ২০০৬ সাল থেকেই পোলিওমুক্ত। বর্তমানে এটি কেবল পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সীমিত। আশা করা যাচ্ছে, রোটারির উদ্যোগে বিশ্ব থেকে পোলিও পুরোপুরি নির্মূল হবে। রোটারির শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে অসহায় শিশুদের শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, ও স্কুল স্থাপন। স্বাস্থ্য খাতে রয়েছে চক্ষু শিবির, টিকাদান, রক্তদান এবং জনসচেতনতা কর্মসূচি। পরিবেশ রক্ষায় স্যানিটেশন উন্নয়ন, বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ, দুর্যোগকালীন সহায়তা এবং বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরো জানান, রোটারি কোনো পদমর্যাদাভিত্তিক সংগঠন নয়। এটি বিশ্বব্যাপী মানবকল্যাণে নিবেদিত একটি সেবামূলক আন্দোলন। এই আন্দোলনে পদপদবী নিয়েও দ্বন্ধের অবকাশ নেই। প্রতি বছর নতুন রোটারি বর্ষে নতুন নেতৃত্ব এই আন্দোলনকে বেগবান করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রিপসা টিমের ডেপুটি কোঅর্ডিনেটর (প্রশাসন) পিপি হাসান কবির চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন রিপসা টিমের ডেপুটি কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর পিডিজি প্রিন্সিপাল কর্নেল (অব.) এম আতাউর রহমান পীর, রিপসা টিম কোঅর্ডিনেটর (প্রশাসন) পিপি কামরুজ্জামান চৌধুরী রুম্মান, নতুন প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান সেলিনা আক্তার চৌধুরী, রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল চৌধুরী, রোটারিয়ান গোলাম হামিদ বাবুল, রোটারিয়ান শাহ জামাল আহমেদ ও রোটারিয়ান আব্দুল বাছিত প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি