প্রচার শুরুর আগে ফেইসবুক-ইউটিউব অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে হবে ইসিকে
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জুন ২০২৫, ৮:০১:৫৭ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর বিষয়ে নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারের সুযোগ রাখলেও বিধিমালায় আনা হয়েছে কড়াকড়ি। যার ফলে সামাজিক যোগাযোগে নির্বাচনি প্রচার শুরু করা আগে সংশ্লিষ্ট যোগাযোগ মাধ্যমের নাম, অ্যাকাউন্ট আইডি, ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্যা প্রচার-প্রচারণা শুরুর আগে রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করতে হবে।
এমন বিধি রেখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংশোধনের লক্ষ্যে চূড়ান্ত খসড়ার ওপর নাগরিকদের মতামতও চেয়েছে সংস্থাটি।
ইসি জানিয়েছে, এই বিধানটি রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনি প্রচারণা নিশ্চিত করা যায়।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কোনো ধরনের বিদেশি বিনিয়োগ রাখা যাবে না। সব প্রার্থী যেন একই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের ইশতেহার প্রচার করেন—এমন বিধানও যুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, “বিধিমালা লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে আগে যেখানে ৬ মাস কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা ছিল, তা বাড়িয়ে ৬ মাস কারাদণ্ড ও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।” এ ছাড়া, নতুনভাবে একটি অঙ্গীকারনামা সংযোজন করা হয়েছে, যেখানে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল আচরণবিধি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেবে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, মনে রাখতে হবে যে আচরণ বিধিমালার অনেকগুলো পরিবর্তন বা সংশোধন এটা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিওর) ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং বর্তমানে যে এটা চূড়ান্ত হলে এটা প্রকাশিত হয়ে যাবে। আমাদের ওয়েবসাইটে ওপরে লেখা থাকবে আরপিও সংশোধন সাপেক্ষে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘(ক) কোনো প্রার্থী বা তাঁহার নির্বাচনি এজেন্ট বা অন্য কোন ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করিয়া নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা পরিচালনা করিতে পারিবেন, তবে উক্ত ক্ষেত্রে প্রার্থী বা তাঁহার নির্বাচনি এজেন্ট বা উক্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম, অ্যাকাউন্ট আইডি, ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্যাদি উক্তরূপে প্রচার-প্রচারণা শুরুর পূর্বে রিটার্নিং অফিসারের নিকট দাখিল করিতে হইবে।’ (খ) ক্ষতিকর কনটেন্টের নিষিদ্ধতা: (১) ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ভুল তথ্য ও নির্বাচন সংক্রান্ত বানোয়াট তথ্যসহ সকল প্রকার ক্ষতিকর কনটেন্ট বানানো ও প্রচারণা নিষিদ্ধ।’ (২) প্রতিপক্ষ, সংখ্যালঘু বা অন্য কোন জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে ঘৃণাত্মক বক্তব্য, ব্যক্তিগত আক্রমণ বা উসকানিমূলক ভাষা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।’ (৩) নির্বাচনি স্বার্থ হাসিল করার জন্য ধর্মীয় বা জাতিগত অনুভূতির অপব্যহার নিষিদ্ধ:
(গ) ভুল ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য: (১) সামাজিক মাধ্যমে নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কনটেন্ট শেয়ার ও প্রকাশ করার পূর্বে (ফেক্ট-চেক) সত্যতা যাচাই করতে হবে।
(২) ভোটারদেকে বিভ্রান্তি করার জন্য তৈরি করা পক্ষপাতমূলক কনটেন্ট (যেমন, এডিটকৃত ভিডিও, বানোয়াট খবর) খসড়ায় বলা হয়, গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ, যথাযথ কর্তৃপক্ষক র্তৃক সংশোধন সাপেক্ষে, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০২৫ এর একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে। বিধিমালাটি চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে নাগরিকগণের সুচিন্তিত মতামত কামনা করা হলো।
নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা এর একটি খসড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ওয়েব সাইট িি.িবপং.মড়া.নফ এ প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে ইসি সচিবের কাছে মতামত পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে ড়ঢ়রহরড়হ@বপং.মড়া.নফ মেইলে মতামত পাঠাতে হবে।