শিশুকে গলা কেটে হত্যা : স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জুন ২০২৫, ৯:১৬:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট নগরীর মেজরটিলায় ৪৫ দিনের শিশু কন্যাকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে একমাত্র আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহত শিশুর মা ঝুমা বেগম। শুক্রবার (২৭ জুন) মামলাটি দায়ের করা হয়।
সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এসএমপির মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান- অভিযুক্ত বাবা এখনো হাসপাতালে। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তিনি ওসমানী হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন। তবে স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৫ জুন (বুধবার) বিকালে নগরীর শাহপরাণ থানাধীন মেজরটিলা (ইসলামপুর) বাজারসংলগ্ন কোরেশী ভিলা ১৮/এ-এর ভাড়া বাসায় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয় ৪৫ দিন বয়েসি শিশু ইনায়া রহমান। সে ঐ বাসার ভাড়াটে আতিকুর রহমান ও ঝুমা বেগম দম্পতির কন্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঐদিন দুপুরে খাবার খেয়ে স্ত্রী ও শিশুকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন আতিকুর রহমান। বিকেলের দিকে হঠাৎ তাঁদের ঘর থেকে চিৎকার শোনা গেলে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখেন- আতিকুর রহমান রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন এবং তাঁর দুই মাসের কন্যা ইনায়া রহমানের গলা কাটা। তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর আহত আতিকুর রহমানকে জরুরীভিত্তিতে হাসপাতালের ৫ম তলায় সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে স্থানান্তর করা হয় আইসিআই-তে।
এদিকে ঘটনার পরদিন নিজের শিশুকন্যাকে গলা কেটে হত্যার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন বাবা আতিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এসএমপির মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তথ্যটি জানান।
তিনি বলেন- হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আতিকুর রহমানের জবানবন্দি ও তার স্ত্রীর বক্তব্য এবং অন্যান্য তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে- শিশুটির পিতাই তাকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা এবং পরে নিজেও গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে আতিকুর রহমান পুলিশকে জানান- মাথাব্যথার কারণে তার মাথায় হঠাৎ কী যেন হয়েছিল বুঝতে পারেননি।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি জব্দ করা হয়।অভিযুক্ত আতিকুর রহমান সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার টংঘর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে।
অপরদিকে শিশু কন্যার শোকে ইনায়ার মা ঝুমা বেগমও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে ফিরে তিনি মামলা দায়ের করেন। মামলটি এফআইআর ভুক্ত করা হয়েছে বলে শাহপরান থানা পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে।