নগরীতে কোন অবৈধ দখলদারিত্ব বরদাশত করা হবেনা : পুলিশ কমিশনার
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুলাই ২০২৫, ৯:৪৪:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, প্রতিটি নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব পুলিশের। এক্ষেত্রে নাগরিকবৃন্দেরও দায়-দায়িত্ব রয়েছে। সিলেট নগরীকে একটি মডেল ও শান্তির নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এই নগরীতে কোন অন্যায় ও জবর দখল বরদাশত করা হবেনা।
তিনি বলেন, একজন প্রবাসীর বাসা আগে একপক্ষের দখলে ছিল, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আরেক পক্ষ সেই দখলদারিত্ব চালিয়েছে। এটা নির্মম। এই ধরণের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের কোন ছাড় দেয়া হবেনা। কারো বাসা দখলের চেষ্টা হলে সাথে সাথে পুলিশকে জানান। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে রয়েছি।
তিনি মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে সিলেট নগরীর কোতোয়ালী থানাধিন শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার সুহেল বেগের বাসা দখলমুক্ত হওয়ায় পুলিশ কমিশনারের সম্মানে আয়োজিত কৃতজ্ঞতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
শামীমাবাদ আল জান্নাত জামে মসজিদের মোতওয়াল্লী হাফিজ সৈয়দ শামীম আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। এসময় এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সিলেট নগরীর শামীমাবাদ এলাকার ৫নং রোডের ৪ তলা বিশিষ্ট ২০৫ নম্বর বাড়িটি সুহেল বেগসহ যুক্তরাজ্য প্রবাসী ৫ ভাইয়ের। ২০১৮ সাল থেকে বাড়িটি দখল করে রাখেন মহানগর ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম তুষারসহ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তারা প্রবাসীকে বের করে দিয়ে চারতলা বিশিষ্ট বাড়িটি দখলে নিয়ে ভাড়াটিয়া ঢুকিয়ে দেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর বাড়িটির দখল নেয় মহানগর ছাত্রদলের স্কুলবিষয়ক সম্পাদক এস এম ফাহিম ও তার সহযোগীরা। গত নভেম্বর থেকে তারা ওই বাড়ির ভাড়াটিয়াদের থেকে ভাড়া তুলতে শুরু করেন।
সুহেল বেগ জানান, তার বাসায় গত কয়েক মাস ধরে ছাত্রদল নেতা এস এম ফাহিম ও তাঁর লোকজন বসবাস করছিলেন। তিনি সম্প্রতি দেশে ফেরার পর বাসাটি উদ্ধারের চেষ্টা করেন। গত ২ জুন তিনি ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ভূমি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। থানা থেকে উভয়পক্ষকে বাড়ির কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হতে বলা হলেও তার প্রতিপক্ষ আসেনি। পরে পুলিশের সহায়তায় তিনি বাড়িতে গিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে বসবাসকারীদের সরে যেতে বলেন। সর্বশেষ পুলিশ গত শনিবার (২৮ জুন) এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে বাড়ির দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়।
পুলিশ কমিশনারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতেই মঙ্গলবা (১ জুলাই) এই সভার আয়োজন করেন সুহেল বেগ ও তার পরিবার।