যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৫৬ বন্দির মুক্তি, সিলেটের ৮
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৩:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ৮ জন বন্দীসসহ সারাদেশের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৫৬ জন কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে সরকার। এদের প্রত্যেকেই কারাগারে অন্তত ২০ বছর কারাদণ্ড ভোগ করেছেন। ‘টুয়েন্টি ইয়ারস রুল’ নামে পরিচিত বিধি অনুসারে তাদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ কারা অধিদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) প্রিজনস জান্নাত-উল-ফরহাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সরকার কারাবিধি ৫৬৯ মোতাবেক এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে ২০ বছর সাজা ভোগকারী যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে ৫৬ জনের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
‘টুয়েন্টি ইয়ারস রুল’ অনুযায়ী, যারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং রেয়াতসহ অন্তত ২০ বছর সাজা ভোগ করেছেন, তাদের আবেদনের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার অধীনে অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে মুক্তির সুযোগ থাকে।
এদিকে এই রুলসের আওতায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৮ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দী মুক্তি পেয়েছেন বলে দৈনিক জালালাবাদকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট কারাগারের জেলার শাখাওয়াত হোসেন।
তিনি জানান, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- ১। বাদশা মিয়া (৫৩), পিতা- মৃত শমসের আলী, ২। জামাল উদ্দিন (৩৯), পিতা- আব্দুর রহমান, ৩। নৌশাদ আলী (৬২), পিতা- মৃত রশীদ আলী, ৪। শ্যামন সিং (৪৭), পিতা – মনি সিং, ৫। শামীম আহমদ (৪৩), কুটি মিয়া, ৬। মিন্নাত আলী (৫২), পিতা- আসাদ্দাক আলী, ৭। মুজিবুর রহমান (৬১), পিতা- ইসহাক আলী ও ৮। আব্দুল মুক্তাদির (৫১), পিতা- আব্দুল মান্নান।
কারা সূত্রে জানা যায়, এই বন্দিরা শৃঙ্খলা রক্ষা, ভালো আচরণ এবং সংশোধনের প্রমাণ রাখার পরই নিয়ম অনুযায়ী মুক্তি পেলেন। এই পদক্ষেপকে মানবিকতা ও পুনর্বাসনের নীতির অংশ হিসেবে দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল। তারা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি বন্দিজীবন শেষে সংশোধিত বন্দিদের মুক্তি সামাজিক পুনঃসম্পৃক্তির সুযোগ সৃষ্টি করে। এছাড়া, কারাগারের অতিরিক্ত চাপ কমাতেও এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে।