ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে মারধর, মাথা ন্যাড়া!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১০:০৬:০৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ছিনতাইয়ের অভিযোগে সিলেট নগরীতে এক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে মারধর ও মাথা ন্যাড়া করার ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা রাতে নগরীর দর্শনদেউরি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। তার নাম এমদাদুল ইসলাম মিজান। তিনি বিমানবন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কেউ কেউ ছিনতাইকারীর বিচার দাবী করেছেন আবার কেউ কেউ ঘটনাটিকে নিজ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল হিসেবেই মনে করছেন।
এই ঘটনায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের আগে এ নিয়ে মন্তব্য করা যাবেনা বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী।
স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় দর্শনদেউরী এলাকায় এক চিহ্নিত চোরকে আটক করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী। ঐ ছিনতাইকারীকে ছাড়াতে গিয়ে নিজদলের নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা এমদাদুল ইসলাম মিজান। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পাশাপাশি মাথার চুল ন্যাড়া করে দেন। স্বেচছাসেবক দলের আরেক সূত্র জানান, এক বিদেশী মহিলার স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাকে আটক করে উপস্থিত জনতা উত্তম মধ্যম দিয়েছে। এখানে দলীয় রাজনীতির কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
এদিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের অপর সূত্র জানিয়েছে, আভ্যন্তরীণ পুর্ব বিরোধের জের ধরেই নিজদলের কতিপয় নেতাকর্মী বিমানবন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল ইসলাম মিজানকে ছিনতাইকারী সাজিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। তাকে ছিনতাইকারি আখ্যা দিয়ে বেধড়ক মারপিটের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।ঘটনার পরপর গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, এই ঘটনা নিয়ে এই মুহুর্তে মন্তব্য করতে পারছিনা। শুনেছি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরপর এর প্রকৃত সত্য জানা যাবে।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরাও লোক মুখে শুনেছি। কেউ এ ব্যাপারে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।