আ’লীগ আমলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৈধ ৬৫৭ অস্ত্রের হদিস নেই
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ জুলাই ২০২৫, ১২:৪১:৪৭ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে যথাযথ বিধি অনুসরণ না করে গণহারে দেয়া হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স। গত ১৬ বছরে (২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত) বিভিন্ন ধরণের ১৯ হাজার ৫০৬টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। এসব আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে থেকে ৬৫৭ টি অস্ত্রের হদিস মিলছেনা।
জানা গেছে, গত ১৬ বছরে সিলেট রেঞ্জ এলাকায় ১২৬১টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়। এরমধ্যে সরকারী ঘোষণার পর জমা হয়েছে ১০৭৩ টি। বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত যেসব আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেয়ার দরকার নেই তার সংখ্যা হচ্ছে ১৬৬টি। এরপরও ২২টি অস্ত্রের হদিস মিলেনি।
জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে যথাযথ নিয়ম না মেনেই প্রায় ২০ হাজার আগ্নেয়াস্ত্রের লাইন্সে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য অন্তর্বর্তীকালিন সরকার গঠনের পরপরই বিগত সরকারের আমলে দেয়া সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ২৫ আগস্ট এসব লাইসেন্স স্থগিত করে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিতে নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশনার পর এখনও ৬৫৭টি লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের কোন হদিস মিলছে না। এসব অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলছে। পাশাপাশি অস্ত্র জমা না দেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র অনুযায়ী মামলা দায়ের শুরু হয়েছে। ২৯ জুন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে ১৩২টি মামলা দায়ের করেছে প্রশাসন। হদিস না পাওয়া ৬৫৭ টি অস্ত্রের অধিকাংশেরই মালিক পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগ নেতা, যুবলীগ নেতা, সে¦চ্ছছাসেবক লীগনেতাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতর সূত্রে সম্প্রতি এ তথ্য জানা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এই গণঅভ্যুত্থান আন্দোলন ঘিরে রাজধানী ঢাকা সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার থানা, ফাঁড়িসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থাপনা থেকে বিপুল অস্ত্র গোলাবারুদ লুট হয়। এই লুণ্ঠিত অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা তথা দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এখন বড় হুমকি। তেমনি সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লাইসেন্সকৃত যেসব অস্ত্র জমা বা উদ্ধার হয়নি সেই অস্ত্রও বড় ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি করেছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে বিগত ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত যে সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বেসামরিক জনগণকে দেওয়া হয়েছে তাদের প্রদানকৃত লাইসেন্স স্থ’গিত করে। তাদেরকে ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ারও নির্দেশ প্রদান করে।
এতে আরও বলা হয়, অস্ত্র আইন, ১৮৭৮ (অপঃ ঢও ড়ভ ১৮৭৮) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬ অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ’া গ্রহণ করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪) লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের মধ্যে ১৩ হাজার ৯০৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়ে। নির্ধারিত সময়ের পরে জমা পড়ে ২২১ টি । অস্ত্র জমা না দেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার হয় ২৬টি। অস্ত্র জমা না হওয়ায় ইতোমধ্যে ১১৬টি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আর অস্ত্র জমা না দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট অস্ত্রের মালিকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৩২টি। লাইসেন্সকৃত ১৯ হাজার ৫০৬টি অস্ত্রের মধ্যে ৪ হাজার ৮৩১টি অস্ত্রের লাইসেন্সধারী হলেন পুলিশ, র্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থ’ার সদস্যরা। যেকারণে তাদের অস্ত্র আর জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর গণমাধ্যমকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেসব লাইসেন্সধারী (বেসামরিক জনগণ) তাদের আগ্নেয়াস্ত্র গুলি জমা দেননি সেগুলো সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী অবৈধ হয়ে গেছে। এসব অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থ’ার অভিযান অব্যাহত আছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা অস্ত্র জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জমা বা উদ্ধার না হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র আইনশৃঙ্খলা তথা জননিরাপত্তার জন্য আমরা ঝুঁকি মনে করি।
জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের লাইন্সেস দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতিকে অনেকক্ষেত্রেই উপেক্ষা করা হয়। অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক যোগসূত্র মূখ্য বিবেচনায় নেয় ৬৪ জেলার জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় একাধিক মামলার আসামি, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। ২০০৯ থেকে পতনের আগ পর্যন্ত অধিকাংশ অস্ত্রের লাইসেন্স পায় আওয়ামী লীগ বা তার সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী ও সদস্যরা। এমনকী আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী ক্যাডারদের হাতেও অস্ত্রের লাইসেন্স তুলে দিয়ে তাদের কাছে থাকা অবৈ অস্ত্রের এ ধরনের বৈধতা দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা বলেন, জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে রাজধানীসহেে শর বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আ›েন্দালনকারীদের ওপর গুলি করেন অবৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি বৈধ অস্ত্র দিয়ে। ফেনীর সাবেক এমপি নিজাম হাজারীসহ কোন কোন এলাকার এমপি নিজেই শর্টগান, বন্দুক পিস্তল নিয়ে আন্দোলণকারী ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালান। এতে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। যেকারণে সরকার লাইসেন্স করা অস্ত্র গুলি জমা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অধিকাংশ সাবেক মন্ত্রী, এমপি, নেতা, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর আত্মগোপনে চলে যায়। তাদের কেউ কেউ লাইন্সেকৃত অস্ত্র বাহক মারফত থানায় জমা দেয়। আবার কেউ কেউ জমা দেওয়ার কোন সুযোগ পায়নি। আবার তাদের অনেকের বাসা লুটপাট হওয়ার কারণেও অনেক অস্ত্র, গুলি লুট হয়ে যায়। এসব অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরসহ একাধিক সুত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের জানুয়ারী মাস থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত ১৬ বছর ৭ মাসে ১৯ হাজার ৫০৬টি বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয় সরকার। তার মধ্যে ডিএমপি এলাকায় ৪৫০৮ টি, সিএমপি এলাকায় ৪৩৪ টি, কেমপি ৩৮৩ টি, আর এমপি ১৩৫ টি, বিএমপি ১৮১, এসএমপি ২৭৪ টি, জিএমপি ২৫৩ টি, আরপিএমপি ৪৭ টি, ঢাকা রেঞ্জ এলাকায় ৩০৫৯ টি,ময়মনসিংহ রেঞ্জ ৮৬০ টি, রাজশাহী রেঞ্জ ২২৫২ টি, রংপুর রেঞ্জ ৬৩০টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ২০৪৮ টি, খুলনা রেঞ্জ ২৪৭১ টি, বরিশাল রেঞ্জ ৭১০ টি ও সিলেট রেঞ্জ এলাকায় ১২৬১ টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়।
আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত জমা পড়া আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা হচ্ছে ১৩৯০৪ টি। তার মধ্যে ডিএমপি এলাকায় ২২৭৩ টি, সিএমপি এলাকায় ৩৪০ টি, কেমপি ৩৩৪ টি, আরএমপি ৯৪ টি, বিএমপি ১৫০টি, এসএমপি ২০৮ টি, জিএমপি ২০৮ টি, আরপিএমপি ৪০ টি, ঢাকা রেঞ্জ এলাকায় ২০৭৮ টি,ময়মনসিংহ রেঞ্জ ৬০৯ টি, রাজশাহী রেঞ্জ ১৮৪৭ টি, রংপুর রেঞ্জ ৫০৩ টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ১৩৩৯ টি, খুলনা রেঞ্জ ২২৩৭ টি, বরিশাল রেঞ্জ ৫৭১ টি ও সিলেট রেঞ্জ এলাকায় ১০৭৩ টি ।
নির্ধারিত সময়ের পর গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৯ জুন পর্যন্ত জমা পড়া আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা হচ্ছে ২২১ টি। তার মধ্যে ডিএমপি এলাকায় ১২৩ টি, সিএমপি এলাকায় ১০ টি, কেমপি ১ টি, আরএমপি ০ টি, বিএমপি ০টি, এসএমপি ৯ টি, জিএমপি ০ টি, আরপিএমপি ০ টি, ঢাকা রেঞ্জ এলাকায় ১৫ টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ২ টি, রাজশাহী রেঞ্জ ০ টি, রংপুর রেঞ্জ ০ টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ৪২ টি, খুলনা রেঞ্জ ১ টি, বরিশাল রেঞ্জ ০ টি ও সিলেট রেঞ্জ এলাকায় ১৮ টি ।
সরকার নির্ধারিত সময়ের মধে জমা না দেয়ায় পরবর্তীতে বিভিন্ন অভিযানে উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা ২৬টি। তার মধ্যে ডিএমপি এলাকায় উদ্ধার করা হয় ৪ টি, সিএমপি এলাকায় ০ টি, কেমপি ০ টি, আরএমপি ০ টি, বিএমপি ০টি, এসএমপি ১ টি, জিএমপি ০ টি, আরপিএমপি ০ টি, ঢাকা রেঞ্জ এলাকায় ৪ টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ০ টি, রাজশাহী রেঞ্জ ৪ টি, রংপুর রেঞ্জ ০ টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ১১ টি, খুলনা রেঞ্জ ০ টি, বরিশাল রেঞ্জ ০ টি ও সিলেট রেঞ্জ এলাকায় ২ টি।
লাইসেন্স বাতিল হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা ১১৬ টি। তার মধ্যে ডিএমপি এলাকায় ০ টি, সিএমপি এলাকায় ১ টি, কেমপি ০ টি, আরএমপি ০ টি, বিএমপি ০টি, এসএমপি ০ টি, জিএমপি ০ টি, আরপিএমপি ০ টি, ঢাকা রেঞ্জ এলাকায় ০ টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ২১ টি, রাজশাহী রেঞ্জ ৯৪ টি, রংপুর রেঞ্জ ০ টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ১১ টি, খুলনা রেঞ্জ ০ টি, বরিশাল রেঞ্জ ০ টি ও সিলেট রেঞ্জ এলাকায় ০ টি।
যেসব লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি অথবা এখনও উদ্ধার হয়নি তার সংখ্যা হচ্ছে ৪০৮ টি। তার মধ্যে ডিএমপি এলাকায় ২৩৬ টি, সিএমপি এলাকায় ৪ টি, কেমপি ২ টি, আরএমপি ০ টি, বিএমপি ১ টি, এসএমপি ৪ টি, জিএমপি ৫ টি, আরপিএমপি ০ টি, ঢাকা রেঞ্জ এলাকায় ৯৩ টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ০ টি, রাজশাহী রেঞ্জ ২৩ টি, রংপুর রেঞ্জ ০ টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ২৮ টি, খুলনা রেঞ্জ ৬ টি, বরিশাল রেঞ্জ ৪ টি ও সিলেট রেঞ্জ এলাকায় ২ টি।
বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত যেসব আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেয়ার দরকার নেই তার সংখ্যা হচ্ছে ৪৮৩১ টি। তার মধ্যে ডিএমপি এলাকায় ১৮৭২ টি, সিএমপি এলাকায় ৭৯ টি, কেমপি ৪৬ টি, আরএমপি ৪১ টি, বিএমপি ৩০টি, এসএমপি ৫২ টি, জিএমপি ৪০ টি, আরপিএমপি ৭ টি, ঢাকা রেঞ্জ এলাকায় ৮৬৯ টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ২২৮ টি, রাজশাহী রেঞ্জ ২৮৪ টি, রংপুর রেঞ্জ ১২৭ টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ৬২৮ টি, খুলনা রেঞ্জ ২২৭ টি, বরিশাল রেঞ্জ ১৩৫০ টি ও সিলেট রেঞ্জ এলাকায় ১৬৬টি।
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ৫০ হাজার ৩১০টি। এর মধ্যে ব্যক্তিগত অস্ত্র ৪৫ হাজার ২২৬টি। অস্ত্রগুলোর মধ্যে পিস্তল চার হাজার ৬৮৩টি, রিভলভার দুই হাজার ৪৩টি, একনলা বন্দুক ২০ হাজার ৮০৯টি, দোনলা বন্দুক ১০ হাজার ৭১৯টি, শটগান পাঁচ হাজার ৪৪৪টি, রাইফেল এক হাজার ৭০৬টি এবং অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে চার হাজার ছয়টি। বাকি অস্ত্রগুলো বিভিন্ন আর্থিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নামে লাইসেন্স করা। ব্যক্তির কাছে থাকা অস্ত্রের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হাতে আছে সাড়ে ৭ হাজারের ওপরে। আর বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে আড়াই হাজারের বেশি। জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে ৭৯টি।
দেশে ৮৪ জন বৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী রয়েছেন। তারা অস্ত্র আমদানি করেন। আবার কেউ কেউ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অস্ত্র সংগ্রহ করেন। কোনো কোনো অস্ত্র ব্যবসায়ী অস্ত্র সংগ্রহের সময় চাহিদাপত্রের বাইরে অস্ত্র কিনে থাকেন। অতিরিক্ত এই অস্ত্রের লিখিত দলিল গোপনই থাকে।