নিঃশর্ত অস্ত্রবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জুলাই ২০২৫, ১০:১২:০৪ অপরাহ্ন

জালালাবাদ রিপোর্ট : দুই দেশের অরণ্যঘেরা সীমান্ত এলাকায় পাঁচদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর সোমবার (২৮ জুলাই) ‘নিঃশর্তভাবে’ নিজেদের মধ্যে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। এতে মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা পালন করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। পুরোনো সীমান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক এই সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৩৬ জন মানুষের আর হাজার হাজার লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। খবর এএফপির।
এই সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু ‘এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল’ নামের একটি এলাকা। ১৯০৭ সালে কম্বোডিয়ার ফরাসি ঔপনিবেশিক প্রশাসকরা ওই এলাকাটির অস্পষ্ট সীমানা নির্ধারণের কারণে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া দুই দেশই ওই অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে আসছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলটি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা আর সাম্প্রতিক সময়ে এই বিবাদ ঘিরে সংঘাত ছিল সবচেয়ে মারাত্মক।
গতকাল মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, ‘আজ সোমবার (২৮ জুলাই) মধ্যরাত থেকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া দুই প্রতিবেশী দেশই তাদের মধ্যে তাৎক্ষণিক ও শর্তহীনভাবে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে।’
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ানের বর্তমানে সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালনকারী মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সোমবার তার সরকারি বাসভবনে ওই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠকে মধ্যস্থতা করার পর অস্ত্রবিরতির এই ঘোষণা দেন। এই সময় সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার ইব্রাহিমের পাশে ছিলেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম উইচায়াচাই এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ধাপ। দুই দেশের নেতাই তাৎক্ষণিকভাবে অস্ত্রবিরতির জন্য তাদের অবস্থান ও ইচ্ছার বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সংঘাত থামাতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে তারা এই বিষয়ে ঐকমত্যের কথা জানিয়েছেন।







