মালয়েশিয়ায় ধরপাকড় আতংকে অবৈধ অভিবাসীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:১৪:৩৭ অপরাহ্ন

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। রাজধানী কুয়ালালামপুর, সেলাঙ্গর, পেনাং ও জোহরসহ বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিদিনই বাণিজ্যকেন্দ্র, নির্মাণশিল্প, বাজার, রেস্তোরাঁ ও আবাসিক এলাকায় ধরপাকড় চলছে। এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি, ইন্দোনেশীয়, মিয়ানমার, নেপালি ও পাকিস্তানি নাগরিক আটক হচ্ছেন।
চৌ কিট, জালান সুলতান আজলান শাহ, গোম্বাক ও বান্দার বারু এলাকার মতো অভিবাসীবহুল অঞ্চলে হঠাৎ অভিযান চালানো হচ্ছে। অনেক সময় স্থানীয় পুলিশ ও শ্রম দপ্তরও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছে। আটক বিদেশিদের অধিকাংশই ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ বা ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেছেন। তাদের ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হচ্ছে এবং বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পারলে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অভিবাসন দেশের আইন-শৃঙ্খলা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি বৈধ চ্যানেলে কর্মী আনার প্রক্রিয়া আরও সহজ করার পরিকল্পনা করছে সরকার। অভিযানের কারণে বৈধ প্রবাসীরাও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। কাজ থেকে ফেরার পথে অনেকেই হঠাৎ ধরপাকড়ে পড়ছেন। দূতাবাসগুলো নাগরিকদের সবসময় বৈধ কাগজপত্র বহনের পরামর্শ দিয়েছে।
জনশক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার টিকিয়ে রাখতে হলে বৈধ শ্রমিক আনার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও দ্রুত করতে হবে। অন্যথায় অবৈধ অভিবাসনের প্রবণতা কমানো কঠিন হয়ে পড়বে।
এদিকে, মানবাধিকারভিত্তিক সংগঠন নর্থ-সাউথ ইনিশিয়েটিভ (এনএসআই) মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসীর জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায় ১৮ দফা সুপারিশ করেছে। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালয়েশিয়া সফরের সময় প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলমের কাছে দেওয়া এক চিঠিতে এই প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
এনএসআই’র নির্বাহী পরিচালক আদ্রিয়ান পেরেইরা বলেন, অনৈতিক নিয়োগ প্রক্রিয়া, ঋণের বোঝা, মানবপাচার ও শোষণ শ্রমিকদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনৈতিক নিয়োগ ও অতিরিক্ত ফি শ্রমিকদের ঋণের ফাঁদে ফেলছে। এনএসআই’র প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে এই দুষ্টচক্র ভাঙা সম্ভব হবে।







