নিত্যপণ্যের বাজারে উত্তাপ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: যথারীতি অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়েছে। সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে কাঁচামরিচ কেজিতে ৩০০ টাকা বেড়ে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৭৫ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, হাইব্রিড পেঁয়াজ ৭০ থেকে বেড়ে ৭৫ টাকায় উঠেছে।
শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। এসব বাজারে ঝিঙ্গা, করলা, বরবটি, বেগুন, কচুর লতি, পটল, চিচিঙ্গা ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রকারভেদে কেজিতে ৩০০ টাকা বেড়ে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। টানা বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।
বাজারে টমেটোর কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়, ইন্ডিয়ান গাজর ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশি শসা ৮০ টাকা এবং হাইব্রিড শসা ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া কাঁকরোলের কেজি ১০০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, শিম ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন, টানা বৃষ্টি ও পূজার কারণে মালামাল না আসায় দাম একটু বেশি।
অন্যদিকে সোনালি কক মুরগির কেজি ৩১০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৮০ থেকে ৫৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজারও চড়া। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নদীতে ধরা এবং বিক্রির বন্ধের ঘোষণায় চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে ২৩০০ থেকে ২৫০০ টাকা এবং ৭০০ গ্রামের ইলিশ ২১০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ ১৫০০ টাকা, ৩০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ টাকা এবং ১৫০ থেকে ২০০ গ্রামের মাছ ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ১৪০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৬০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং খেসারির ডাল ১৪০ টাকা দরে দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারেও স্বস্তি নেই। বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮৫ থেকে ৯২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং আটাশ চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে।
এদিকে মসলার বাজারেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত। কিশমিশ, আলুবোখারা, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও জিরা ৬৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০০, গোলমরিচ এক লাফে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা কেজিতে , দেশি আদা ১৪০ বেড়ে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, চায়না আদা ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় পৌঁছেছে।
ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৃষ্টি হলেই কি দাম বেড়ে যাবে! আমরা কি খাব বুঝতেছি না। সকল সবজি, মাছ ও মুরগির এত দাম; মনে হচ্ছে ডিম নিয়ে বাড়ি যেতে হবে।