অস্থায়ী সংস্কার: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ৮:৩৭:২৯ অপরাহ্ন

জালালাবাদ ডেস্ক: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নির্মাণাধীন চারলেন প্রকল্পের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে সরাইল বিশ্বরোড পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশ দীর্ঘদিন ধরে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে এই পথে চলাচলরত পরিবহন, যাত্রী ও চালকেরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।এরই মধ্যে রোববার থেকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ মহাসড়কের বিশ্বরোড অংশে অস্থায়ী সংস্কার কাজ শুরু করেছে। এতে বিশ্বরোড গোলচত্বরে একাধিক স্তরে ইট ও বালু বিছিয়ে প্রায় ছয় ইঞ্চি উঁচু করা হয়েছে সড়কটি। ফলে চলমান মূল মহাসড়কটি সংকুচিত হয়ে পড়েছে, যানবাহনের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হচ্ছে।
সংস্কারকাজের জন্য নির্মাণসামগ্রী রেখে ঢাকা থেকে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী ইউটার্নটি বন্ধ করে দেয়ায় সকাল থেকেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বরোড এলাকায়।এদিকে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই নাজুক অংশ পরিদর্শনে আসছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তার আগমনকে কেন্দ্র করেই তড়িঘড়ি করে এই অস্থায়ী সংস্কার কাজ শুরু করেছে সওজ বিভাগ। তবে কতটুকু সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে বা কত টাকায় এ কাজ সম্পন্ন হবে সে বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। অস্থায়ী এ সংস্কারকাজে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন চালকেরা।
স্থানীয় বাসিন্দা রুকন উদ্দিন লস্কর বলেন, একজন অতিথির আগমনকে কেন্দ্র করে তড়িঘড়ি করে অস্থায়ীভাবে সড়ক মেরামত করা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় হচ্ছে। বাস চালক আলী আকবর বলেন, ‘ইউটার্ন বন্ধ করে দেয়ায় যানজট আরও বেড়েছে। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে কাজ করা ঠিক নয়।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খন্দকার বলেন, অস্থায়ী কাজ কতটুকু করা হচ্ছে বা ব্যয় কত এই মুহূর্তে নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে দ্রুতই ব্যয় নির্ধারণ করা হবে।’
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সংস্কার কাজের কারণে যানজটের তীব্রতা বেড়েছে। হাইওয়ে পুলিশ নিয়মিত কাজ করছে, তবে ভোগান্তি কমাতে স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।’







