সিলেটে ডেঙ্গু সংক্রমণের ডাবল সেঞ্চুরী পার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ৮:৫৬:১০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ২৪ ঘন্টায় সিলেট বিভাগে নতুন করে আরো ৫ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে জানুয়ারী থেকে সোমবার (৬ অক্টোবর) পর্যন্ত ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০২ জনে। এরমধ্যে অক্টোরের ৬ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ জন।সোমবার (৬ অক্টোবর) দৈনিক জালালাবাদকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৮ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ২ জন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ১ জন, হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ২ জন ও লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি আছেন।
এদিকে চলতি মওসুমে সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তে শীর্ষে রয়েছে হবিগঞ্জ জেলা। চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২০২ জনের ১১৫ জনই হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। জেলাটিকে বিভাগের ডেঙ্গু হটস্পট হিসেবে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ৯ মাসে বিভাগে ডেঙ্গুতে কারো মৃত্যু না হলেও ২০২ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছেন। এরমধ্যে চলতি অক্টোবর মাসের ৬ দিনে শনাক্ত হয়েছেন ১৯ জন। গেল সেপ্টেম্বর মাসে শনাক্ত হয়েছেন ৭৩ জন। এর আগে বিভাগে গত আগস্ট মাসে শনাক্ত হয়েছিলেন ৪৮ জন। এছাড়া গত জুলাই মাসে শনাক্ত হয়েছেন ২৯ জন। জুন মাসে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ জন। মে মাসে শনাক্ত হন ১২ জন। এপ্রিল ও ফেব্রুয়ারী মাসে কোন রোগী শনাক্ত না হলেও জানুয়ারী মাসে ৬ ও মার্চ মাসে ১ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হন।
চলতি মৌসুমে বিভাগে ২০২ ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে সিলেট জেলার ৩৭ জন, সুনামগঞ্জে ২৯ জন, মৌলভীবাজারে ২১ জন এবং হবিগঞ্জে ১১৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, সিলেটে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কারণ এখনো সিলেটে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য মিলেনি। যারাই আক্রান্ত হয়েছেন সকলেরই ট্রাভেল হিস্ট্রি রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকার পাশর্^বর্তী হওয়ায় হবিগঞ্জ জেলায় ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশী। তাই স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে নিজে থেকে আইসোলেট হয়ে গেলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ডেঙ্গু আক্রান্তের ঝুঁিক অনেকটা কমে যায়। এদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মশারী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।







