বালাগঞ্জে সড়কের সৌরবাতি বিকল সুফল বঞ্চিত জনসাধারণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৩৬:৫০ অপরাহ্ন

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও হাটবাজারে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে স্থাপন করা হয়েছিল সরকারি সৌরবিদ্যুৎচালিত স্ট্রিট লাইট। প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার স্টিলের খুঁটির উপর বসানো হয়েছিল এসব লাইট। উদ্দেশ্য ছিল রাতের অন্ধকার দূর করে নিরাপদ ও আলোকিত গ্রামীণ পরিবেশ নিশ্চিত করা। কিন্তু বর্তমানে এসব স্ট্রিট লাইটের অধিকাংশই বিকল হয়ে পড়ে আছে বছরের পর বছর ধরে, অথচ দেখার যেন কেউ নেই।
সরকারি অর্থে স্থাপিত এই লাইটগুলো এখন ব্যবহারের অযোগ্য। উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়কে স্থাপিত স্টিলের খুঁটিগুলো এখন কেবল নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অযত্ন ও অবহেলার কারণে লাইটগুলো একে একে বিকল হয়ে পড়লেও, এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই বললেই চলে। এতে উপকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বালাগঞ্জের সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায় এবং স্থানীয়রা জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় লাইটগুলো স্থাপন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো ‘চুক্তিভিত্তিক তিন বছরের’ রক্ষণাবেক্ষণ করলেও, মেয়াদ শেষ হতেই তারা একেবারে গা ঢাকা দিয়েছে। এরপর থেকে আজ অবধি মেরামতের কোনো উদ্যোগ বা নজরদারি চোখে পড়েনি।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই প্রকল্পে লাইট মেরামতের কোনো বাজেট না রেখে সারা দেশে হাজার কোটি টাকার লাইট বসানো হয়েছে, যা এখন সম্পূর্ণ অকার্যকর। এটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থের অপচয়। অনেকে বলেন, মেরামত না করে এভাবে ফেলে রাখা প্রকল্প মানেই হচ্ছে জনগণের করের টাকার অপব্যবহার।
বিকল স্ট্রিট লাইটের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বালাগঞ্জ সদর, বোয়ালজুর, দেওয়ান বাজার, পৈলনপুর, পূর্ব গৌরীপুর, পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নসহ সোনাপুর, চাইন্দার পাড়া, মোহাম্মদ শাল, কালীবাড়িবাজার, নতুন বাজারসহ গ্রাম ও বাজারের স্ট্রিট লাইট বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কান্তি দাস জানান স্ট্রিট লাইট স্থাপনের পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের তিন বছরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল। তাদের দায়িতত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এখন এগুলোর মেরামতের দায়িত্ব স্থানীয় উপকার ভোগীদের খরচে করতে হবে।
ভুক্তভোগিরা বালাগঞ্জের মতো উপজেলার প্রতিটি গ্রামে সৌর স্ট্রিট লাইটের কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।







