জগন্নাথপুরে বিদ্যুৎ চুরি রোধে অভিযান
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৩৭:১৮ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এতে বিদ্যুৎ চুরিকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যখন থেকে জগন্নাথপুরে ব্যাটারি চালিত গাড়িগুলোর আগমন ঘটেছে, তখন থেকেই বিদ্যুৎ চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই গ্রাহকদের লোডশেডিং সমস্যা থেকে রেহাই দিতে বিদ্যুৎ চুরি রোধে অভিযান চলছে।
জগন্নাথপুর বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানায়, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জগন্নাথপুর উপজেলার জন্য নির্দিষ্ট হারে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে থাকেন। যা দিয়ে জগন্নাথপুরবাসীর বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ হওয়া সম্ভব। তবে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরির কারণে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে লোডশেডিং হচ্ছে। তাই বিদ্যুৎ চুরি রোধে অভিযান চলমান রয়েছে।
তারা জানান, গত প্রায় এক মাস আগে সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ চুরি আমরা শনাক্ত করেছি। এছাড়া প্রতিনিয়ত অভিযানে ছোট-খাটো বিদ্যুৎ চুরি রোধ করছি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
গত ৩ সেপ্টেম্বর জগন্নাথপুর পৌর শহরের হবিবপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। জগন্নাথপুর আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আজিজুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর আলীর ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের চার্জিং এর গ্যারেজে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে ২৪টি টমটম ২ টি ইজিবাইক ও ৩ টি ইলেকট্রিক কাভার্ড ভ্যানসহ ২৯টি গাড়ি অবৈধভাবে বাইপাস বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করে চার্জিং এর দায়ে তার বিদ্যুৎ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে বিদ্যুৎ চুরির সকল আলামতসহ জাহাঙ্গীর আলীর বিরুদ্ধে মিটার হতে রেকর্ডকৃত ডাটা নিরীক্ষা করে বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ অনুযায়ী ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৪ টাকা ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে শুক্রবার জগন্নাথপুর আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আজিজুল ইসলাম আজাদ জানান, জাহাঙ্গীর আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পর তিনি আদালতে আত্মসমর্থন করে কিস্তির মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করছেন। এছাড়া বিদ্যুৎ চুরি রোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।







