এক দশকে ডিম উৎপাদন দ্বিগুণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ৮:২২:৪১ অপরাহ্ন

জালালাবাদ ডেস্ক : গত এক দশকে দেশে ডিমের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। সবশেষ গত অর্থবছরে (২০২৪-২৫) দুই হাজার ৪৪০ কোটি পিসেরও বেশি ডিম উৎপাদন হয়েছে দেশে। দশ বছর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল এক হাজার ১৯১ কোটি পিস। বর্তমানে দেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ কোটি পিস ডিম উৎপাদন হচ্ছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎপাদনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডিমের চাহিদা বাড়ছে। এখন বহু ধরনের খাদ্যপণ্যে ডিমের ব্যবহার বেড়েছে। যে কারণে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসে ডিমের বাজার দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকায়।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দাম সহনীয় হওয়ায় দেশে ডিমের চাহিদাও এখন বেশি। প্রতিটি পরিবারেই ডিম খাওয়ার বিষয়ে বাড়তি সচেতনতা তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মতে, পুষ্টি চাহিদা পূরণ এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি মানুষের বছরে ন্যূনতম ১০৪টি ডিম খাওয়া প্রয়োজন। প্রণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, এখন মাথাপিছু গড়ে ১৩৭টি ডিমের সহজলভ্যতা রয়েছে। তথ্য মতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডিমের বাজার ছিল প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার। যেটা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লক্ষ্যমাত্রায় ২০৩১ সাল নাগাদ ডিমের মাথাপিছু ভোগ ১৬৫টি এবং ২০৪১ সাল নাগাদ তা ২০৮টিতে উন্নীত করা হবে। দেশের ৮৮ থেকে ৯০ শতাংশ ডিম আসে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামার থেকে। বিপিআইসিসির হিসাব মতে, বর্তমানে প্রতি পিস ডিমের উৎপাদন খরচ প্রায় ১০.৫০ টাকা।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ডিমের বাজার ছিল প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার। যেটা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এই যে ডিমের উৎপাদন এবং বড় বাজার তৈরি হয়েছে এখানে ছোট ছোট খামারিদের সঙ্গে বড় একটি হিস্যা রয়েছে করপোরেট উৎপাদনকারীদের। যেখানে বড় উৎপাদনকারীরা হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, বাজারে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন ২০ শতাংশের আশপাশে। বাংলাদেশে মোট যে পরিমাণ বাণিজ্যিক পোল্ট্রি ডিম উৎপাদিত হয় তার মাত্র ১০ থেকে ১২ শতাংশ উৎপাদন করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পরিচিত খামারগুলো। অর্থাৎ, দেশের ৮৮ থেকে ৯০ শতাংশ ডিম আসে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামার থেকে। বিপিআইসিসির হিসাব মতে, বর্তমানে প্রতি পিস ডিমের উৎপাদন খরচ প্রায় ১০.৫০ টাকা।
জানা গেছে, কাজী ফার্মস, ডায়মন্ড এগ, প্যারাগন পোল্ট্রি, নর্থ এগ, সিপি বাংলাদেশ, আফিল অ্যাগ্রো, পিপলস পোল্ট্রি, নবিল অ্যাগ্রো, ভিআইপি শাহাদত, রানা পোল্ট্রি, ওয়েস্টার পোল্ট্রিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে উৎপাদনের শীর্ষে। এর মধ্যে কিছু কোম্পানি রয়েছে যাদের দৈনিক ডিম উৎপাদন ১৫ লাখ পিসের কাছাকাছি। অনেকগুলো কোম্পানি প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ লাখ পিস ডিম উৎপাদন করছে।





