অবশেষে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জমি বুঝে পেল সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ৮:৩৮:০০ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : নানা অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য অবশেষে ৭৯.১১৭৫ একর জমি বুঝে পেয়েছে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সিমেবি)। গতকাল শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল পাটওয়ারীর হাতে জমির কাগজপত্র তুলে দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। ফলে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৭ বছর পর অনিশ্চয়তা কাটিয়ে জমি পেল বিশ^বিদ্যালয়টি।
জানা গেছে, সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস সংলগ্ন গোয়ালগাঁও ও হাজরাই মৌজায় মোট ৭৯.১১৭৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। এলএ মামলা নং ০৯/২০১৯-২০ অনুযায়ী এ জমির মালিকানা ও দখল আনুষ্ঠানিকভাবে গতকাল শনিবার সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে জমি হস্তান্তর বিশ^বিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ জমি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু হবে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণার সুবিধা নিশ্চিত করতে এই বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে যাত্রা শুরু করে সিলেট মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়। আওয়ামীলীগ সরকার যোগ্য ভিসি নিয়োগ না দেওয়ায় শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে সিলেট মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাকালীন ভিসি অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) নঈমুল হক চৌধুরীর সীমাহীন নিয়োগ বাণিজ্য ও সরকারি অর্থ লুটপাটের কারণে বড় ধাক্কা খায় বিশ^বিদ্যালয়টি। যার ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে বিশ^বিদ্যালয়টি। ভিসি ও রেজিস্ট্রার সীমাহীন দুর্নীতি করলেও তাদেরকে বাঁচাতে একক মামলা না করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আরও ৫৬ জনের নামে মামলা করে দুদক। ফলে বিশ^বিদ্যালয়ের জনবল সমস্যা এখনো সমাধান করা যায়নি।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ইসমাইল পাটওয়ারী জালালাবাদকে বলেন, স্বাস্থ্য শিক্ষায় সিলেট অঞ্চলের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান সিলেট মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়। ২০১৮ সালে বিশ^বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও নানা কারণে বিশ^বিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা থমকে ছিল। জুলাই বিপ্লবের পর আমি দায়িত্ব নিয়েই বিশ^বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানের কাজ শুরু করি। দায়িত্ব নেওয়ার পর নানা ষড়যন্ত্র থাকলেও সেগুলো মোকাবেলা করে সিলেটবাসীর সহযোগিতায় বিশ^বিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে তৎপর ছিলাম। আনুষ্ঠানিকভাবে জমি অধিগ্রহণের কাজ সমাপ্তির মাধ্যমে বিশ^বিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা আরেকধাপ অগ্রসর হলো। এর মধ্য দিয়ে সিলেট অঞ্চলের স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠানটির অগ্রযাত্রা স্থায়ীভাবে রুপ নিল। তিনি বলেন, এখন আমাদের সামনে অনেক কাজ। মাটি ভরাট ও বাওয়ান্ডারিসহ বাকি কাজগুলো খুব শিগগির শুরু করতে হবে। পরবর্তীতে বিশ^বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ করে দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করাই লক্ষ্য। এজন্য সিলেটের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।







