১৫ কর্মকর্তা সেনা হেফাজতে : জেনারেল কবিরের পলায়নের গুঞ্জন
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ৯:০০:২৩ অপরাহ্ন
চার দিনেও সেনানিবাসে পৌছেনি পরোয়ানা | অন্ধকারে অবসরে থাকা ৯ কর্মকর্তার তথ্য

জালালাবাদ রিপোর্ট: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ঢাকা সেনানিবাসের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার। এই ৬ কিলোমিটার দূরত্বের সেনানিবাসে চার দিনেও ২৫ সেনা কর্মকর্তার (সাবেক ও বর্তমান) গ্রেফতারি পরোয়ানা পৌছায়নি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, সেনানিবাসে গ্রেফতারি পরোয়ানা পৌছাতে আর কতদিন লাগবে।
তথ্য মতে, আওয়ামী লীগ আমলের গুমের ঘটনায় দুটি মামলায় গত বুধবার (৮ অক্টোবর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনাসহ ২৮ জনকে গ্রেফতার করতে পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তাদের মধ্যে ২৫ জনই সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা। পরোয়ানা জারির দিনই তা সংশ্লিষ্ট ১৩টি দপ্তরে পাঠানোর কথা জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর কর্মকর্তারা।
তবে গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের মেস আলফাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান সেই পরোয়ানা এখনো না পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা এখনো এসে পৌছায়নি। তবে এরই মধ্যে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সামরিক বাহিনীর যেসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে, তার মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়ে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুমের মামলায় ট্রাইব্যুনাল থেকে পরোয়ানা জারির পর তা নিয়ে তুমুল আলোচনা এবং সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেফতার না করায় জুলাই অভ্যুত্থানকারীদের ক্ষোভের মধ্যে গতকাল শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের মেস আলফাতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা।
মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ২৫ জন সেনা সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে অবসরে আছেন ৯ জন, এলপিআর-এ একজন, আর সেনাবাহিনীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৫ জন। ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এলপিআর ও সার্ভিসে থাকা ১৬ জনকে সেনাসদরে সংযুক্ত হতে বলা হয়। ৯ অক্টোবরের মধ্যে সেনাসদরে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া বাকি ১৫ জন এসেছে। তারা পরিবার থেকেও আলাদা থাকছে।
কবীর আহাম্মাদের বিষয়ে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, কবীর আহাম্মদ ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়েছেন। এরপর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবিকে বলা হয়েছে যেন তিনি দেশত্যাগ করতে না পারেন। এ সময় তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সংবিধান স্বীকৃত বাংলাদেশের সকল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে অন্ধকারে অবসরে থাকা ৯ কর্মকর্তার তথ্য। তারা কোথায় আছেন, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এদিকে এরই মধ্যে হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবির আহম্মদ ভারত পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।







