প্রজন্মের চাহিদা পূরণে পণ্যের মান নিশ্চিত করতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯:১৮:২৫ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশের মতো সিলেটেও মঙ্গলবার উদযাপিত হয়েছে ‘বিশ্ব মান দিবস ২০২৫’। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই, সিলেট এর যৌথ উদ্যোগে সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার প্রজন্মের চাহিদা পূরণে পণ্যের যথাযথ মান নিশ্চিত করার আহবান জানান। তিনি বলেন, উৎপাদন খাত দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাই মান সম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করলে একদিকে দেশে-বিদেশে ভাবমূর্তি উজ্জল হবে, অন্যদিকে দেশ অর্থনীতিতেও শক্তিশালী হবে। তিনি খাদ্য পণ্যে বিষাক্ত রাসায়নিকের ব্যবহার রোধকল্পে জনসচেতনতার পাশাপাশি যথাযথ আইন প্রয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন। জেন-জি এবং জেন-আলফা এর চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ মানকে যুগোপযোগি, পরীক্ষণ পদ্ধতির অ্যাক্রিডিটেশন, ভেলিডেশন ও পরীক্ষণে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ক্যালিব্রেশন নিশ্চিত করার জন্য বিএসটিআই কে নির্দেশনা দেন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে-মান’। এর উপর মূল প্রবন্ধে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক ড. মোঃ মনির হোসাইন পণ্যেও মান ও এর বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নৈতিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এর মাধ্যমে সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে প্রত্যাশিত মানবিক সমাজ তৈরী করতে হবে।
বিশেষ অতিথি পুলিশ কমিশনার বলেন, বিএসটিআই ও ব্যবসায়ীদের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া গুণগত মান বজায় রাখা সম্ভব নয়। বিএসটিআই প্রদত্ত হালাল সার্টিফিকেট এর গ্রহণযোগ্যতা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার আলম জনমানুষের প্রত্যাশা তুলে ধরে বলেন, খাদ্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তরের সমন্বয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকলকে সতর্ক করা হবে। অতঃপর আইন অমান্যকারীদের কঠোর সাজার আওতায় আনা হবে।
স্বাগত বক্তব্যে বিএসটিআই, সিলেট এর অফিস প্রধান মোঃ মাজাহারুল হক বলেন, এই অফিসে সর্বাধুনিক মানের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাব সংযুক্ত করায় প্রায় শতভাগ পণ্যের পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষণ সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে।





