পারিবারিক জমিদারি ও স্বৈরাচারী রাজনীতি থেকে জাতি মুক্তি চায় : ফখরুল ইসলাম
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৪৬:০০ অপরাহ্ন

দিরাই প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন এবং ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠনের যে মহান লক্ষ্য নিয়ে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে যারা বাংলাদেশকে শাসন করেছেন তারা মুক্তিযুদ্ধের সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বার বার ব্যর্থ হয়েছেন। তারা দেশটাকে পারিবারিক সম্পদের মতো ব্যবহার করে জনগণের ন্যায্য অধিকার দিতে পারেনি। স্বাধীনতার পর যে সকল দল দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ছিল তারা পারিবারিক জমিদারি আর স্বৈরাচারী মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। জাতি তাদেরকে বার বার প্রত্যাখান করেছে। তাই পারিবারিক জমিদারি আর স্বৈরাচারী রাজনীতি থেকে মুক্তির জন্য দেশবাসী জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
তিনি আরও বলেন, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদিরা বার বার জামায়াতে ইসলামীকে দমিয়ে দিতে অপচেষ্টা করেছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলে আমাদের শত শত নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলায় ফাঁসি দিয়ে দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছে। সর্বশেষ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনের সময় জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ২৪ এর ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে তারাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জনগণ আজ তাদেরকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। জামায়াতকে জনগণ প্রাণভরে গ্রহণ করছে। এদেশের জনগণ আর কোনো লুটেরা, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী এবং দখলদারকে ক্ষমতায় দেখতে চায়না। আগামী সংসদ নির্বাচনে শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন এবং ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য জামায়াতে ইসলামীকে জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায়।
শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান এর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ এর সঞ্চালনায় সম্মেলনের শুরুতে দারসুল কুরআন পেশ করেন অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এডভোকেট মুহাম্মদ শামস উদদীন, নায়েবে আমীর মোমতাজুল হাসান আবেদ। সম্মেলনে সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল, উপজেলা দায়িত্বশীলসহ সকল পুরুষ এবং মহিলা সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।







